কুয়েতে সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবাসিক আইন লঙ্ঘনকারীদের গ্রেপ্তার করতে মাঠে নেমেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় সোমবার (১ জুলাই) ভোর থেকে চিরুনি অভিযান চলছে কুয়েতজুড়ে। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘ব্লাক মান্ডে ডাউন’।
এদিকে অভিযানের প্রথম দিনেই ৭৫০ জনের অধিক প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা গেছে, দেশটির জাহরা, জিলিব আল শুয়েখ, ফরওয়ানিয়া, খাইতান, আল-আহমদি, সালমিয়া, হাওয়ালি, ময়দান হাওয়ালি এবং জাবরিয়াতে অভিযান চালিতে প্রবাসীদের গ্রেপ্তার করা হয়। যারা বিভিন্ন আইন লঙ্ঘন করে কুয়েতে বসবাসরত ছিলেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের চারদিনের মধ্যে তাদের নিজ নিজ দূতাবাসের সঙ্গে সমন্বয় করে কুয়েতে আজীবন ও উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে পাঁচ বছরের জন্য পুনরায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে।
আইন লঙ্ঘনকারীদের যারা আশ্রয় দেবে তাদের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
কুয়েতের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রবাসীদের সতর্ক করে বলেন, ২৪ ঘণ্টা চালানো হবে গ্রেপ্তার অভিযান। কুয়েতে কোনো আইন লঙ্ঘনকারী পালিয়ে থাকতে পারবে না।
রেসিডেন্সি অ্যাফেয়ার্স ইনভেস্টিগেশন, ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন, পাবলিক সিকিউরিটি এবং রেসকিউ সার্ভিসেস বিভাগ থেকে নিরাপত্তা কর্মী এবং টহলরা এই অভিজানে অংশগ্রহণ করবে, প্রয়োজনে বিশেষ বাহিনীর সহায়তা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ১৭ মার্চ শুরু হওয়া অবৈধ প্রবাসীদের সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ ১৭ জুন পর্যন্ত থাকলেও কুয়েতের প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ ফাহাদ ইউসুফ আল-সাবাহ-এর নির্দেশনায় সেটার মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছিল।
তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা সাধারণ ক্ষমার সুযোগ গ্রহণ করেছে মাত্র ৩৫ হাজার। যেখানে অবৈধ প্রবাসী রয়েছে এক লাখ বিশ হাজার।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post