বিশ্বজুড়ে নানা দেশে যখন দীর্ঘস্থায়ী শাসকদের স্বৈরাচারী, একনায়ক আখ্যা দিয়ে ক্ষমতা থেকে টেনেহিঁচড়ে নামানো হচ্ছে, তখন বেশ নীরবেই শাসনের সুবর্ণজয়ন্তী পূর্ণ করে বেশ নিভৃতেই এ দুনিয়া ছেড়ে চলে যান ওমানের সাবেক সুলতান কাবুস বিন সাঈদ।
তার মৃত্যুতে শুধুমাত্র ওমানের নাগরিকই কেঁদেছে ব্যাপারটা এমন নয়, দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসীরাও কেঁদেছিল। মাত্র ২৯ বছর বয়সে রক্তপাতহীন এক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পিতা সাঈদ বিন তাইমুরকে সরিয়ে ১৯৭০ সালে সুলতান হয়ে বসেন কাবুস।
সুলতান কাবুস ১৯৭০ সালে যখন ওমানের সিংহাসনে আরোহণ করেন তখন দেশটিতে মাত্র ১০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা আর তিনটি স্কুল ছিল। কৃষক আর জেলেদের দেশ হিসেবে পরিচিত ওমানে তখন অবকাঠামো বলতে তেমন কিছু ছিল না।
বাইরের পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন ওমান তখন দারিদ্র্য পীড়িত একটি দেশ। কিন্তু সেই গরিব ওমান আজ আরব বিশ্বের একটি আধুনিক ধনি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। উন্নত অবকাঠামো আর নাগরিকদের সচ্ছল জীবন যাপনের জন্য ওমান অন্যতম সুখী আর শান্তিপূর্ণ একটি দেশ। ওমানের আজকের যত পরিচিতি তার মুলে রয়েছেন সুলতান কাবুস বিন সাঈদ আল সাঈদ।
ওমানকে আজকের একটি উদার, আধুনিক আর ধনি রাষ্ট্রের কাতারে পৌঁছানোর জন্য অনেক সুবিধাও পেয়েছেন কাবুস। এর মধ্যে প্রথমে রয়েছে দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে একটানা দেশ শাসনের সুযোগ। এ ক্ষেত্রে তিনি উপভোগ করেছেন একচ্ছত্র আর নিরঙ্কুশ ক্ষমতার চর্চা।
আর একটানা দীর্ঘ ৫০ বছর দেশ শাসনের রেকর্ড গড়ে তিনি আরব বিশ্ব, মধ্যপ্রাচ্য এমনকি গোটা বিশ্বেও সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী শাসকে পরিণত হন। ৭৯ বছর বয়সে ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি মারা যান। মৃত্যুর পর আলোচনায় এসেছেন আরব বিশ্বের নিভৃতে থাকা এ শাসক। তার মৃত্যুর এক বছর অতিবাহিত হয়ে দ্বিতীয় বছরে পা দিলো। ১০-জানুয়ারি নানা আয়োজনের মাধ্যমে তাকে স্মরণ করছে ওমানের জনগণ।
আরও পড়ুনঃ শান্তিপ্রিয় একটি দেশের নাম ওমান
আরো পড়ুনঃ এয়ারপোর্টে নেমেই কান্নায় ভেঙ্গে পরেই ৫ ওমান প্রবাসী
ছবি সূত্রঃ ওমান ডেইলি এবং ওমান নাইস প্লেস
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post