অন্যান্য পাবলিক ট্রান্সপোর্টের চেয়ে বিমান আলাদা। তাই এই আকাশপথে ভ্রমণ কিছু নিয়মনীতি রয়েছে। আপনি যদি আপনার পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন তবে বিমানবন্দরে গ্যাজেট বহন করার নিয়মগুলো অবশ্যই জানতে হবে। এই নিয়মগুলো জানলে বিমানবন্দরে চেক-ইন এবং নিরাপত্তা পরীক্ষার সময় সমস্যাগুলো এড়াতে পারবেন।
চেক-ইন লাগেজে পাওয়ার ব্যাংক রাখবেন না
পাওয়ার ব্যাংক, ব্যাটারি বা ব্যাটারি চালিত জিনিসপত্র বড় স্যুটকেসে (চেক-ইন লাগেজ) রাখা যাবে না। বেশিরভাগ এয়ারলাইন্স এবং বিমানবন্দর চায় যে আপনি এগুলো আপনার বহন করা লাগেজে রাখুন।
কিন্তু, আপনি ডিভাইস থেকে ব্যাটারি সরিয়ে নিতে পারেন এবং ডিভাইসটিকে একটি বড় স্যুটকেসে এবং ব্যাটারিটি একটি ছোট ব্যাগে রাখতে পারেন।
উপরন্তু, ২০ হাজার অ্যাম্পিয়ার আওয়ার বা তার চেয়ে বেশি শক্তি বা ১০০ ওয়াট আওয়ারের বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন পাওয়ার ব্যাংকগুলোকে বিমানে তোলা যাবে না।
নিরাপত্তা পরীক্ষার সময় ল্যাপটপ, ফোন এবং আরও অনেক কিছু সরিয়ে রাখুন
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পরীক্ষার সময় ল্যাপটপ, স্মার্টফোন এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস আলাদা ট্রেতে রাখতে হবে। তাদের স্ক্রিনিং করা হয়।
তাই আপনার ডিভাইস এবং তাদের চার্জিং তারগুলো ট্রেতে রাখুন। মনে রাখবেন প্লেনে নির্দিষ্ট ল্যাপটপ এবং স্মার্টফোনের অনুমতি নেই।
এছাড়াও স্মার্টওয়াচ অপসারণ করুন
এয়ারপোর্ট এবং এয়ারলাইন্স আপনাকে কোনো ঝামেলা ছাড়াই আপনার ক্যারি-অন ব্যাগে আপনার স্মার্টওয়াচ রাখার অনুমতি দেয়, তবে হ্যা, নিরাপত্তা পরীক্ষার সময় এটি একটি আলাদা ট্রেতে রাখতে হবে।
স্পিকারগুলোও বের করে নিন
টিডব্লিউএস ইয়ারবাড, হেডফোন বা পোর্টেবল স্পিকার বহন করছেন? এগুলোকে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পরীক্ষার সময় একটি পৃথক ট্রেতে রাখতে হবে এবং স্ক্রিনিংয়ের জন্য নিয়ে যেতে হবে। কিছু এয়ারপোর্ট এবং এয়ারলাইন্স চার্জিং তারটি সরাতেও বলতে পারে।
লাগেজ ব্যাগে ইলেকট্রিক শেভার বা রেজার রাখুন
বিমানবন্দরে বৈদ্যুতিক শেভার এবং রেজার অনুমোদিত। আপনি এগুলো আপনার ছোট ব্যাগে (ক্যারি-অন) বা বড় স্যুটকেসে (চেক-ইন) রাখতে পারেন। যাইহোক, পুরনো ধাঁচের রেজার ব্লেড এবং ডিসপোজেবল রেজার যার ব্লেডগুলো আলাদাভাবে বেরিয়ে আসে শুধুমাত্র বড় স্যুটকেসে রাখা যেতে পারে। নোট করুন যে বিমানবন্দরে এই ব্লেডগুলোর জন্য বিশেষ নিয়ম থাকতে পারে, যেমন তাদের সর্বাধিক সংখ্যা বা আকার।
ক্যামেরা সরঞ্জাম
আপনি যদি বড় লেন্সসহ পেশাদার ক্যামেরা এবং ট্রাইপডের মতো আইটেমগুলো বহন করতে চান তবে বিমানবন্দরে তাদের আলাদাভাবে পরীক্ষা করতে হতে পারে।
যাইহোক, যদি আপনার সম্পূর্ণ ক্যামেরার লাগেজ, ব্যাটারিগুলো সরানো, একটি বড় স্যুটকেস (চেক-ইন) বা ছোট ব্যাগে (ক্যারি-অন) ফিট হয়ে যায়, তাহলে আপনাকে আলাদা চেকের প্রয়োজন হবে না
ই-সিগারেট অনুমোদিত নয়
ইলেকট্রনিক সিগারেট অনেক দেশেই অবৈধ, যার মানে আপনি এগুলোকে আপনার সঙ্গে বিমানবন্দরে নিয়ে যেতে পারবেন না।
যদি আপনার কাছে এই সিগারেটগুলো পাওয়া যায় তবে সেগুলো বাজেয়াপ্ত করা যেতে পারে এবং আপনি আইনি সমস্যায় পড়তে পারেন৷
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post