হেফাজতে ইসলামের সাবেক নেতা ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী একেএম ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ধর্ষণ মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় এক নারীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। ওই মামলায় গ্রেফতার হয়ে প্রায় তিন বছর কাশিমপুর কারাগারে ছিলেন তিনি।
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় রয়েল রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝর্ণা নামে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন হেফাজতে ইসলামের তৎকালীন যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক।
ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা খবর পেয়ে এসে নারীর সঙ্গে তাকে ঘেরাও করে রাখেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা গিয়ে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তাণ্ডব চালিয়ে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যান।
ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করছিলেন। এ সময় থানা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা মামুনুল হককে নজরদারিতে রাখে।
ঘটনার পনেরো দিন পরে ওই বছরের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেফতার করা হয়। পরে এ ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে রিসোর্টে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ তুলে মামলা করেন ওই নারী।
তবে আসামি মামুনুল হক ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করে এলেও তার আইনজীবীরা এখন পর্যন্ত বিয়ের কাবিননামা বা এ সংক্রান্ত বৈধ কোনো তথ্য প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করতে পারেননি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post