মালয়েশিয়ায় চীনা বংশোদ্ভূত এক যুগল বিয়ে করার আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন।
তবে এই যুগলের পরিবার তাদের সন্তানদের ইচ্ছা পূরণ করার জন্য তাদের ‘গোস্ট ম্যারেজ’ বা ভূতের বিয়ের আয়োজন করেছে।
চীনা বিশ্বাস মতে, একজন মৃতেরও জীবিতদের মতো চাওয়া-পাওয়া থাকে। পরকালে যাতে তারা সঙ্গীহীন না থাকে এই বিবেচনায় তাদের বিয়ে দেয়া হয়।
পরকালে পর্যাপ্ত সুখী না হলে মৃতের আত্মা তার পরিবার পরিজনদের তাড়া করে বেড়াবে। এজন্য মৃতের আত্মাকে খুশি করার জন্য তাকে একজন সঙ্গী দেয়া হয়। এমন অদ্ভুতুড়ে রীতি কেবল ‘অবিবাহিত’ মৃত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে জানানো হয়, চীনের ‘শানসি’ প্রদেশের রীতি অনুযায়ী, এমন বিয়ে হচ্ছে ‘গোস্ট ম্যারেজ’ বা ‘ভূতের বিয়ে’।
মৃত ব্যক্তিকে বিয়ে দেয়ার এই প্রথাকে বলা হয় ‘মিয়াং খুন’। এমন রীতি উত্তর ও মধ্য চীন, শানসি ও হেনান প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় ৩ হাজারের বেশি সময় ধরে পালিত হয়ে আসছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, মালয়েশিয়া ড্রাগন অ্যান্ড লায়ন ড্যান্স স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক রেফারি হিসেবে কাজ করতেন ইয়াং জিংশান (৩১)।
তার বান্ধবী ৩২ বছর বয়সী লি মালয়েশিয়ায় একটি খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় কাজ করতেন। জিংশানের পরিকল্পনা ছিল গত ২ জুন তার জন্মদিন অনেক আয়োজন করে উদযাপন করবেন এবং প্রেমিকাকে প্রস্তাব দেবেন।
তবে গত ২৪ মে এই যুগল মালয়েশিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চল পেরাক সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় তাদের দু’জনেরই মৃত্যু হয়।
ভয়াবহ এই ট্র্যাজেডির পর তাদের দুই পরিবার সিদ্ধান্ত নেয় ভূতের বিয়ের আয়োজন করার। মৃত্যুর পর পরকালে তাদের স্বামী-স্ত্রী হিসেবে এক করতেই এই সিদ্ধান্ত।
পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই পরিবার সোমবার এক অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হলে বিয়ের আয়োজন করে। মৃত ওই যুগলের জন্য তারা বিয়ের ছবিও তৈরি করে। জিংশানের পরিবার লিকে তাদের পুত্রবধূ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post