ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে জেনিন শহরে গতকাল শনিবার (২২ জুন) অভিযান চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। সেখানে একজন ফিলিস্তিনিকে গুলি করার পর তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় জিপ গাড়ির সামনে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে এবং দ্রুত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে। খবর বিবিসির।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, পশ্চিম তীরের জেনিনে অভিযানের সময় একজন সন্দেহভাজন ফিলিস্তিনিকে সেনাবাহিনী গুলি করে এবং আহত ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ সেনাবাহিনীর গাড়ির সামনে বেঁধে রাখে, যা স্পষ্টভাবে আইনের লঙ্ঘন।
আহত ব্যক্তির পরিবার জানায়, তারা অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অনুরোধ করলেও সেনাবাহিনী আহত ব্যক্তিকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায় এবং তাকে জিপের বনেটের উপর বেঁধে রাখে। কিছুক্ষণ পর সেনাবাহিনী সেখান থেকে চলে যায়। পরে আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য রেড ক্রিসেন্টে পাঠানো হয়। আহত ব্যক্তির নাম মুজাহিদ আজমি। তিনি একজন সাধারণ ফিলিস্তিনি।
এদিকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বিভাগের (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গতকাল শনিবার ওয়াদি বুরকিন এলাকায় সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারের জন্য সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালানোর সময় সন্ত্রাসীরা আইডিএফ সৈন্যদের দিকে গুলি চালায়। এতে সৈন্যরা পাল্টা গুলি চালিয়ে জবাব দেয়। গোলাগুলির সময় সন্দেহভাজনদের মধ্যে একজন আহত হয় এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রক্রিয়া লঙ্ঘন করে সন্দেহভাজনকে একটি গাড়ির উপরে বেঁধে নিয়ে যায় সৈন্যরা। ছড়িয়ে পড়া ভিডিও অনুসারে সেনাবাহিনীর এই আচরণ আইডিএফের মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। অতি দ্রুত ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর থেকে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সৈন্যদের সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বহুগুণে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, পূর্ব জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীরে সাম্প্রতিক সংঘাত-সহিংসতায় কমপক্ষে ৪৮০ ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এ ছাড়া ছয়জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ ১০ জন ইসরায়েলিও নিহত হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post