কোরবানির গোশত নিজে খাওয়া যায় এবং ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাইকে খাওয়ানো যায়। আল্লাহ তাআলার জন্য পশু জবাই করা হলেও তার গোশত তিনি আমাদের জন্য হালাল করে দিয়েছেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা থেকে তোমরা নিজেরা খাও এবং হতদরিদ্রদের খাওয়াও’ (সুরা আল-হজ্জ ২৮)। অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তা থেকে খাও এবং মিসকিন ও ফকিরকে খাওয়াও’ (সুরা আল-হজ্জ ৩৬)।
কোরবানির পশুর সবকিছু নিজে খাওয়া যায় ও ব্যবহার করা যায়। গোশত সম্পূর্ণ খাওয়া যায়, ভুঁড়ি পরিষ্কার করে খাওয়া যায় এবং চামড়া প্রস্তুত করে নিজেই ব্যবহার করা যায়। কোরবানির পশুর কোনো অংশ বিক্রি করলে তা গরিবদের হক হয়ে যায়। গোশত, চামড়া, হাড় যাই বিক্রি করা হোক না কেন। এ জন্য আমাদের দেশে চামড়া বিক্রি করে গরিবদের দান করতে দেখা যায়।
কোরবানির গোশতের এক-তৃতীয়াংশ গরিব-মিসকিনকে এবং এক-তৃতীয়াংশ আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীকে দেওয়া উত্তম। পুরোটা যদি নিজে রেখে দেয় বা অন্যদের দিয়ে দেয় এতে কোনো অসুবিধা নেই। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪, আলমগিরি ৫/৩০০)
অধিকাংশ ইসলামিক স্কলারদের মতে, কোরবানির পশুর গোশতকে এ তিন ভাগে ভাগ করা মোস্তাহাব এবং উত্তম বলেছেন।
যদি কেউ তিন ভাগ করার ক্ষেত্রে কমবেশি করে তাতে কোনো সমস্যা নেই। কোরবানি হবে না বা কোরবানি নষ্ট হয়ে গেছে, এমনটি ভাবার কিংবা চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। কেননা একেবারে পাল্লায় মেপে তিন ভাগে ভাগ করা আবশ্যক কোনো বিষয় নয়।
কোরবানির এ গোশত ভাগ না করে এমনিতেই প্রতিবেশী-আত্মীয়, গরিব-অসহায়কে দেয়া যাবে। এ জন্য ভাগ করতেই হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
কোরবানির গোশত সংরক্ষণ করা যাবে কি?
কোরবানির গোশত সংরক্ষণ করা যাবে। তবে দুর্ভিক্ষের বছর হলে তিন দিনের বেশি সংরক্ষণ করা জায়েয নয়। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোরবানি করেছে তৃতীয় রাতের পরের ভোর বেলায় তার ঘরে যেন এর কোনো অংশ অবশিষ্ট না থাকে।
পরের বছর সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসুল, আমরা কি গত বছরের মত করব? তখন নবীজি (সা.) বললেন, ‘তোমরা খাও, খাওয়াও এবং সংরক্ষণ কর। ওই বছর মানুষ কষ্টে ছিল। তাই আমি চেয়েছি তোমরা তাদেরকে সহযোগিতা কর। (বুখারি ও মুসলিম)
কোরবানির গোশত সংরক্ষণ করা যাবে। তবে দুর্ভিক্ষের বছর হলে তিন দিনের বেশি সংরক্ষণ করা জায়েয নয়। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোরবানি করেছে তৃতীয় রাতের পরের ভোর বেলায় তার ঘরে যেন এর কোনো অংশ অবশিষ্ট না থাকে।
পরের বছর সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসুল, আমরা কি গত বছরের মত করব? তখন নবীজি (সা.) বললেন, ‘তোমরা খাও, খাওয়াও এবং সংরক্ষণ কর। ওই বছর মানুষ কষ্টে ছিল। তাই আমি চেয়েছি তোমরা তাদেরকে সহযোগিতা কর। (বুখারি ও মুসলিম)
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post