বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের থাবায় স্বাভাবিক গতিপথ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এরপরও ২০২০ সালে বাংলাদেশের রেমিট্যান্সের গতিপথ থেমে ছিল না, ক্রমান্বয়ে করোনার মধ্যেও ঝড়ো গতিতে বাড়ছে প্রবাসী আয়।
চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর- এ পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৯০ কোটি ডলার। যা আগের অর্থবছরের একই সময় এসেছিল ৭৭১ কোটি ডলার। সেই হিসাবে এ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসেই রেমিট্যান্স বেড়েছে ৪১ দশমিক ৩২ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে বেশি রেমিট্যান্স পাঠানোর দিক থেকে তালিকায় প্রথমে রয়েছে সৌদি আরব। প্রথম ১০ দেশের এই তালিকায় রয়েছে- আমেরিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, ওমান, কুয়েত, কাতার, ইতালি ও সিঙ্গাপুর।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী
সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১১৪.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার,
ইউএসএ থেকে এসেছে ১ হাজার ৯৫.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার,
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৯৬৭.৪ মিলিয়ন ইউএস ডলার,
মালয়েশিয়া থেকে ৭৯৫.১ মিলিয়ন ইউএস ডলার,
যুক্তরাজ্য থেকে ৬৮৮ মিলিয়ন ইউএস ডলার,
ওমান থেকে ৬৪২.২ মিলিয়ন ইউএস ডলার,
কুয়েত থেকে ৬২৪.৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার,
কাতার থেকে ৪৪৯.৩ মিলিয়ন ইউএস ডলার,
ইতালি থেকে ২৯০.৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার ও সিঙ্গাপুর থেকে ২৩৫.৯ মিলিয়ন ইউএস ডলার।
আরো পড়ুনঃ ২০১ রিয়াল দিয়ে পতাকা নবায়নের মেয়াদ বাড়ালো ওমান
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, গত সেপ্টেম্বরে ২১৫ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আগস্টে আসে ১৯৬ কোটি ডলার। আর গত জুলাইয়ে ছিল একক মাস হিসেবে রেমিট্যান্সের সর্বোচ্চ রেকর্ড, ২৫৯ কোটি ডলার।
এর আগে এক মাসে এত বেশি রেমিট্যান্স আসার নজির নেই। ২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত অভিবাসী (মাইগ্রেট) শ্রমিকরা ১৯.৬৯ বিলিয়ন টাকা আয় পাঠিয়েছেন। প্রবাহের এই ধারা অব্যাহত থাকলে গত বছরের তুলনায় রেমিট্যান্সের পরিমাণ বাড়বে ১৭.৫শতাংশ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post