বিশ্বজুড়ে অশান্তি, হানাহানির মধ্যেও ওমানে রয়েছে শান্তির বার্তা। কারণ ওমান এমন একটি দেশ যেখানে পর্যাপ্ত শান্তির বাতাবরণ আর উদ্বেগমুক্ত জীবন মানুষকে প্রাণভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ করে দেয়।
এই দেশে যারা আছেন তাদের আছে মনের শান্তি আর প্রাণের আরাম। যুদ্ধবিগ্রহে অস্থির বিশ্বে কিছু দেশে যে এখনও শান্তি আছে তার সবশেষ প্রমাণ নামবেও সেফটি ইন্ডেক্স ২০২৪। যে তালিকায় ওমান আছে পাঁচ নম্বরে।
মূলত দেশের অভ্যন্তরে নাগরিক ও প্রবাসীরা কতটা নিরাপদ চলাচল করতে পারছে তা এই ইনডেক্সের প্রধান পরিমাপক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। যেখানে ১০০ এর মধ্যে ওমানের স্কোর ৮১।
তালিকায় এক নম্বরে আছে এন্ডোরা, আমিরাত দ্বিতীয়, তৃতীয় কাতার এবং ওমানের ঠিক উপরে তাইওয়ানের অবস্থান। জীবনের নিরাপত্তা বিবেচনায় শান্তিপুর্ণ দেশগুলোর প্রথম পাঁচটির মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যেরই ৩ টি।
আরব উপদ্বীপের অন্যান্য অংশ থেকে সাগর, পাহাড় আর মরুভূমি দিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়েছে ওমান। তবে এই বিচ্ছিন্নতাই যেন দেশটিকে সৌন্দর্য আর বিশুদ্ধতায় আরব উপদ্বীপের অন্যান্য দেশ থেকে কয়েকগুণ এগিয়ে নিয়ে গেছে।
বিস্তীর্ণ মরু-প্রান্তর, সাগরের অথৈ নীল জলরাশি, সুউচ্চ পাথরে পর্বত, সাদা বালুকাবেলা কিংবা বিশাল আকাশের নীলিমা- ওমানজুড়ে যেন অন্যরকম এক সৌন্দর্য ঝরে পড়ছে।
এ যেন প্রাকৃতিক সুন্দরের এক অপরূপ লীলাভূমি। প্রতিবেশী দেশ সৌদি, কাতার ও আরব-আমিরাতের মতো ওমানে নেই আকাশছোঁয়া অট্টালিকা, কোলাহলপূর্ণ নগর-চত্বর বা রাজপথ।
তাই প্রকৃতি ও পরিবেশ এখানে দূষণ-মুক্ত আর বিশুদ্ধ। এজন্য বাসিন্দারা মুক্ত বাতাসে নিশ্চিন্তে হেঁটে বেড়ান পথেঘাটে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post