রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় প্রবাসী স্বামীর ২৫ লাখ টাকা ও পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে বিয়ে করেছেন স্ত্রী রোজিনা খাতুন।
গত ২১ মে সাত বছরের একটি ছেলে সন্তান রেখে প্রতিবেশী সাইদ শেখের সঙ্গে বিয়ে করেন তিনি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চর আফরা শিকদার পাড়া গ্রামে।
প্রবাসী সিরাজ সিরাজ উদ্দিনের স্বজনরা জানান, সিঙ্গাপুরে থাকা সিরাজ স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের পর বিয়ের খবরে লজ্জায় দেশে আসতে না পেরে চাকরি ছেড়ে পাগলের প্রলাপ করছেন।
এ ঘটনায় গত ৩০ মে নানি ও টাকা-স্বর্ণালংকার ফিরে পেতে রোজিনা খাতুনসহ তিনজনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেছেন সিরাজ উদ্দিনের বাবা আরশেদ প্রমানিক।
মামলার আসামিরা হলেন- উপজেলার চর আফরা মধ্যপাড়া গ্রামের সুলতান মন্ডলের মেয়ে ও সিরাজের স্ত্রী রোজিনা খাতুন, মৃত তালেব মন্ডলের ছেলে সুলতান মন্ডল ও রোজিনার বর্তমান স্বামী ও রশিদ শেখের ছেলে সাইদ শেখ।
এদিকে আদালত আরশেদ প্রমানিকের মামলাটি গ্রহণ করে পাংশা থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
রোজিনার প্রতিবেশী ইউসুফ আলী জানান, ১৪ বছর আগে রোজিনার সঙ্গে পাশের গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে সাত বছরের একটি ছেলে রয়েছে। এরপর সংসারের সুখের জন্য সিরাজ সিঙ্গাপুরে চলে যান।
সিরাজ বিদেশে যাওয়ার পর থেকেই রোজিনা বাবার বাড়ির প্রতিবেশী সাইদ শেখ নামে এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে তাদের দাম্পত্যে কলহ ও দুই পরিবারের মধ্যে একাধিকবার সালিশ হয়। তওবাও পড়ানো হয়। কিন্তু কোনো কিছুই তাদের পরকীয়া ঠেকাতে পারেনি।
পাংশার হাবাসপুর ইউপি চেয়ারম্যান মামুন খান জানান, বিষয়টি নিয়ে গত মাসে চর আফরা গ্রামে তাদের উপস্থিতে অনুষ্ঠিত শালিসে রোজিনা জানিয়েছিল তিনি চার মাস আগেই স্বামী সিরাজ উদ্দিনকে তালাক দিয়েছেন।
তালাকের পরেও সিরাজের কাছ থেকে নেয়া ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা সিরাজের বাবার কাছে ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। একইসঙ্গে ওই টাকা না দেওয়া পর্যন্ত রোজিনাকে অন্যত্র বিয়ে না করার জন্যও বলা হয় শালিসে। কিন্তু ওই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার পরও রোজিনা-সাইদ গত ২১ মে বিয়ে করেছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post