ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সতর্কতা দেওয়ার পর বিমান ওঠানামার করণীয় ঠিক করতে বৈঠকে বসে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
বিমানবন্দরটির পরিচালক সি পত্তবি এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে বলেছেন, “কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব বিবেচনা করে একটি বৈঠক করা হয়েছে।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রোববার ২৬ মে দুপুর ১২টা থেকে সোমবার ২৭ মে সকাল ৯টা পর্যন্ত বিমান ওঠানামা বন্ধ থাকবে। কারণ ওই সময় কলকাতায় দমকা হাওয়া এবং প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।”
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, রোববার রাতে বাংলাদেশের খেপুপাড়া এবং পশ্চিমঙ্গের সাগরদ্বীপের মাঝামাঝি অঞ্চল দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি বয়ে যাবে। ওই সময় ঝড়টির গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। আর ঝড়ো বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার।
বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হয়েছে। যা সর্বোচ্চ ক্যাটাগরি-১ শক্তিমাত্রার ঝড় হিসেবে ২৬ মে দিবাগত রাত থেকে ২৭ মে সকালের মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
নিজস্ব পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিডব্লিউওটি’র প্রধান আবহাওয়া গবেষক খালিদ হোসেনের সই করা এক বার্তায় বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দীঘা থেকে বাংলাদেশের পটুয়াখালীর মাঝামাঝি যেকোনো জায়গা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে। তবে এর সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট।
বার্তায় বলা হয়, এ ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ শক্তিমাত্রা হতে পারে ক্যাটাগরি-১। তবে আশা করা যায় ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটারের বেশি এটি গতিবেগ পাবে না। তবে আশঙ্কার ব্যাপার হচ্ছে এটি তার পূর্ণ শক্তিতে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। যদিও দমকা বা ঝোড়ো বাতাসের বেগ আরও কিছুটা বেশি থাকতে পারে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post