মাস্কাট-ঢাকা রুটে আকাশপথে টিকেটের দাম চার থেকে ৬গুণ বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওমান প্রবাসীরা। করোনার দোহাই দিয়ে টিকিটের মূল্য বাড়াতে যেন প্রতিটি এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। করোনার পূর্বে ওমান থেকে মাত্র ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায় দেশে আসা গেলেও বর্তমানে খরচ হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।
খোজনিয়ে জানাগেছে, ওমান থেকে পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশের টিকিটের মূল্য পূর্বের তুলনায় তেমন একটা না বাড়লেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যেনো প্রতিযোগিতা দিয়ে বাড়ছে মূল্য। করোনার পূর্বে মাস্কাট টু ঢাকা টিকিটের সর্বনিম্ন সাড়ে ৯ হাজার টাকা হলেও বর্তমানে সর্বনিম্ন মূল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা।
সেইসাথে যোগ হয়েছে করোনা পরীক্ষা, সকল খরচ সহ বর্তমানে ওমান থেকে একজন প্রবাসীকে দেশে ফিরতে গুনতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। বর্তমানে ওমান থেকে যেসব প্রবাসী দেশে ফিরছেন, তাদের মধ্যে অধিকাংশই দেশটিতে দীর্ঘদিন বেকার অবস্থায় থেকে শূন্য হাতে আউটপাশ নিয়ে দেশে ফিরছেন। এদের অধিকাংশই দেশ থেকে টাকা নিয়ে টিকিট কেটে দেশে আসছেন।
আরো পড়ুনঃ ওমান পৌঁছেছে ভ্যাকসিনের প্রথম চালান
আকাশপথের টিকেটের এত দাম বৃদ্ধি কেন- জানতে চাইলে সংশ্লিষ্টরা কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি। ট্রাভেল এজেন্টরা বলছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, সংশ্লিষ্টদের তদারকি না থাকায় খেয়াল খুশিমতো ভাড়া বাড়াচ্ছে এয়ারলাইন্সগুলো।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিমানের এক কর্মকর্তা প্রবাস টাইমকে বলেন, টিকিটের ডিমান্ড থাকার কারণে মূল্য বাড়ছে। আগামী দিনে এই রুটে টিকেটের মূল্য আরো বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছেন বিমানের এই কর্মকর্তা।
এদিকে বিশ্বস্ত সূত্রে জানাগেছে, ওমান থেকে আউটপাশ নিয়ে দেশে ফিরতে প্রায় ৬০ হাজার প্রবাসী আবেদন করেছেন, এমতাবস্থায় সামনে টিকিটের গলাকাটা মূল্য নিয়ে চিন্তিত ওমান প্রবাসীরা।
বিদেশে আটকেপড়া প্রবাসীদের সরকারি খরচে দেশে আনার কথা জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ। তবে প্রবাসীদের দাবী, সরকারি খরচে দেশে না নিয়ে টিকিটের মূল্য কমানো হলে এতেই খুশি প্রবাসীরা।
এদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের যে সকল ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে, পরবর্তীতে কোনো ধরনের ফি ছাড়াই টিকেট পরিবর্তন করে দেয়া হবে। এর জন্য কোন চার্জ দিতে হবে না যাত্রীদের। মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মহিবুল হক।
আরো পড়ুনঃ করোনার নতুন ধরন শনাক্তে গোটা বিশ্বে আতঙ্ক
সচিব জানান, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত নিজ থেকে কোন ফ্লাইট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়নি। বিভিন্ন দেশ তাদের এয়ারপোর্ট বন্ধ করে দেয়ার কারণে ফ্লাইট বাতিল করা হচ্ছে। বাংলাদেশের এয়ারপোর্ট বন্ধ বা সকল ফ্লাইট বন্ধ করার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তবে এ বিষয়ে তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post