প্রবাস থেকে ফিরে এসে শখের বসে শুরু করেন পাখি পালন। প্রকারভেদে একটি পাখি বিক্রি করছেন ৫০০ থেকে ৮০ হাজার টাকায়। এতে মাসে আয় হয় এক থেকে দেড় লাখ টাকা। শখের বশে লাখপতি বনে যাওয়ায় পরিচিতি পেয়েছেন পাখি ভাই হিসেবে।
জামালপুরের উদ্যোক্তা নোমান রেজা একসময় থাকতেন ইরাকে। ৭ থেকে ৮ বছরের প্রবাস জীবন শেষে স্ত্রী সালমা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে শুরু করেন পাখি পালন।
মাত্র ২ থেকে ৩ জোড়া পাখি দিয়ে শুরু করেন খামার। ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা মূলধন খাটিয়ে যুক্ত করেন আরও কিছু পাখি। সেই থেকে শুরু। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাদের। এখন তার খামারে রয়েছে ৫০ থেকে ৬০ প্রজাতির সাত হাজারেরও বেশি পাখি ও কবুতর।
এখন প্রায় ৪০ শতক জমির ওপরে পাঁচটি শেডে পাখি ও কবুতর পালন করছেন এ দম্পতি। খামারে রয়েছে লুটিনো, কগাটেল, বাজরিগর, লাভ বার্ড, কাকাতুয়া, ময়নাসহ হরেক রকমের পাখি। প্রকারভেদে প্রতিজোড়া পাখি বিক্রি করছেন ৫০০ থেকে ৮০ হাজার টাকায়। প্রতিজোড়া কবুতর ১ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন তারা মিয়া। বিভিন্ন জায়গা ক্রেতা এবং দর্শনার্থীরা আসেন তার বাড়িতে।
বর্তমানে তার ব্যবসা সারা বাংলাদেশ ছড়িয়ে পড়েছে। যা কেবল পরিশ্রমের মাধ্যমেই অর্জন করতে পেরেছেন। তবে পাখির খাদ্য মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তবে তার এমন উদ্যোগে খুশী এলাকাবাসীও।
নোমান রেজা উদ্যোক্তা হিসেবে পাখি পালন করে স্বচ্ছলতা আনয়নের পাশাপাশি মানুষের পাখির প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখছে বলে জানান জামালপুর জেলা উদ্যোক্তা উন্নয়ন এসোসিয়েশন প্রধান উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর সেলিম।
নোমান রেজার পাখি পালনে অনুপ্রানিত হয়ে আরও অনেকেই এই পেশায় আসলে তৈরি হবে আত্মকর্মসংস্থান এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post