আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় তিন শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এক হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি। শনিবার (১১ মে) এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফপি)। খবর বার্তাসংস্থা এপি’র।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (১০ মে) আফগানিস্তানের বাঘলান, তাখার ও বাদাকাশানের পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চলীয় ঘর ও হেরাত প্রদেশে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এতে নদ-নদীর পানি বেড়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন প্রদেশের গ্রাম, সড়ক ও কৃষিজমি কাদাময় হয়ে পড়েছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, পাশ্ববর্তী তাখার প্রদেশে বন্যায় অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বহু মানুষ বাঘলানের হাসপাতালে জড়ো হয়েছেন। তারা তাদের স্বজনকে খুঁজছেন। এসময় একজন কর্মকর্তা বলেন, তাদের কবর খনন শুরু করা উচিত। তাদের কর্মীরা দাফনের জন্য মৃতদেহ প্রস্তুত করছেন।
তালেবান সরকারের প্রধান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লেখেন, বন্যায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আহত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সরকার বন্যাকবলিতদের উদ্ধার, আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া এবং মৃতদেহ দাফনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার পাশাপাশি বন্যাকবলিত এলাকার মানুষকে খাদ্য, ওষুধ ও প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। গত মাসের মাঝামাঝিতেও দেশটির ১০টি প্রদেশে বন্যায় প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post