ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের চলমান হামলার অন্যতম প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে সেখানকার বিভিন্ন ধর্মীয় স্থাপনা ও ব্যক্তিত্বরা।
ফিলিস্তিনের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩০০ জন ইমাম এবং ধর্মীয় ব্যক্তিকে হত্যা করেছে হানাদার ইসরায়েলি সেনারা।
এছাড়া তারা পাঁচশরও বেশি মসজিদ পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। আংশিকভাবে ধ্বংস করেছে আরো অসংখ্য মসজিদ। যার মধ্যে রয়েছে ঐতিহাসিক আল-ওমারি মসজিদও।
ইসরায়েলিদের বর্বরতা থেকে বাদ যায়নি খ্রিস্টানদের গির্জাও। এখন পর্যন্ত তাদের হামলায় ঐতিহাসিক সেন্ট প্রোফাইরিসসহ তিনটি গির্জা মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এছাড়া ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কোরআন পডকাস্ট ইনস্টিটিউটও হামলার শিকার হয়েছে।
ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হওয়া সত্ত্বেও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইমামসহ অন্যান্য ধর্মীয় ব্যক্তিরা শরণার্থী শিবির ও হাসপাতালগুলোতে শান্তির বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন। তারা ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদগুলো আবারও নতুন করে খুলছেন এবং কোরআনের শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডেল ইস্ট আইকে গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের বিশ্বাসকে ভেঙে দিতে ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের ওপর ইচ্ছাকৃত হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ধর্মীয় স্থাপনা ও ব্যক্তিত্বরা আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে সুরক্ষিত। তাদের ওপর হামলা করা মানে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করা।
তিনি আরো বলেছেন, বিশ্বের প্রতি আমাদের বার্তা হলো আমরা আপনাদের পাশে চাই সাধারণ ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা দেওয়া এবং গাজায় গণহত্যা বন্ধ করার জন্য।
বিশেষ করে আরব বিশ্বের ইসলামিক ব্যক্তিত্বদের প্রতি আমাদের আহ্বান আমাদের মানুষদের ওপর চলমান ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করতে কাজ করুন।
দখলদার ইসরায়েলের হামলার শিকার হয়েছেন তাইসার ইব্রাহিম, নাজিবা আল-দালিস, আওনি ওন, ওয়ায়েল আল-জির্দ, বাসিম আল সাফাদিসহ ফিলিস্তিনের প্রসিদ্ধ আলেমরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post