জানুয়ারি থেকেই ওমানে নিষিদ্ধ হচ্ছে প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার। এই উপযোগী সিদ্ধান্তের ফলে ওমানের পরিবেশ ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে বলে মনে করছেন দেশটির পরিবেশ কর্তৃপক্ষ।
পুনরায় ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ ব্যবহারে জনগণকে আগ্রহী করে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে এক বিবৃত্তিতে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দেশটির পরিবেশবিদরা বলছেন, প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
এই ব্যাগ ব্যবহারের পরিবর্তে কাপড়, কাগজ বা পাট দিয়ে তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করা দরকার। তারা সাধারণ নাগরিকদের আহ্বান জানিয়েছেন প্লাস্টিকের ব্যাগের বিকল্প হিসেবে কাগজ, কাপড় বা পাটের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করার।
পরিবেশ কর্তৃপক্ষ আরো জানিয়েছেন যে, একক-ব্যবহারের প্লাস্টিকের ব্যাগগুলি দুই ধরণের প্লাস্টিক থেকে তৈরি করা হয়। একটি হালকা এবং একটি ভারী। সাধারণত হালকা প্লাস্টিকের ব্যাগগুলো সহজেই বাতাসে ভেসে থাকে।
এই ব্যাগগুলো পরিবেশে সহজে পচে যায় না। এই ধরণের ব্যাগ পরিবেশে পচে যেতে পায় এক হাজার বছর সময় লাগতে পারে। সহজেই এই ব্যাগ পচে না যাওয়ার কারণে প্রতিবছর এই ব্যাগ এক লক্ষেরও বেশি প্রজাতির প্রাণী ও পাখির ক্ষতি করে থাকে।
বছরে ৩৬৮ টিরও বেশি প্রাণী হত্যার জন্য এই প্লাস্টিকের ব্যাগ দায়ী। এছাড়াও প্লাস্টিকের ব্যাগ পুড়ালে এর থেকে যে রাসায়নিক কালো ধোয়া বের হয়ে তা মানুষের শ্বাস নালিকে ক্ষতি করে।
উল্লেখ্য: কয়েক বছর কঠিন সাধনা এবং নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের পরমাণু বিজ্ঞানী মুবারক আহমেদ খান তাঁর সহযোগীদের নিয়ে পাটের আঁশ দিয়ে তৈরি পরিবেশবান্ধব শতভাগ প্রাকৃতিক পলিব্যাগ তৈরি করেন।
উদ্যোগটি প্রধানমন্ত্রীর পছন্দ হলে তিনি নিজেই এর নামকরণ করেন। পাট থেকে তৈরি এই পলিথিন ব্যাগের নাম দেন ‘সোনালী ব্যাগ’। সারা বিশ্বে এই নামেই পরিচিত হবে পাটের তৈরি পলিথিনের ব্যাগের। তবে বাংলাদেশের তৈরি সোনালী ব্যাগ এখনো আলোর মুখ দেখতে পারেনি!
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও উদ্যোগটি কেনো আলোর মুখ দেখতে পারেনি এই বিষয়ে পরমাণু বিজ্ঞানী মুবারক আহমেদ খানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি প্রবাস টাইমকে বলেন, “সোনালী ব্যাগ তৈরি করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।
তবে এটি বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করতে বেশকিছু টেকনিক্যাল ইস্যু রয়েছে। মেশিনারিজ এবং বিনিয়োগের কারণে মূলত দেরি হচ্ছে। বিনিয়োগকারীর অভাবেই মূলত আলোর মুখ দেখতে পারছেনা।”
আরো পড়ুনঃ ইতালির নতুন ভিসা প্রত্যাশীদের দুয়ার খুললো
এদিকে দেশটির এমন আইনের কারণে বাংলাদেশে পাটের তৈরি সোনালি ব্যাগের ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে ওমানে। এই মুহূর্তে ওমানে পাটের ব্যাগ রপ্তানি করতে পারলে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের আরেকটি পণ্যের দুয়ার উন্মোচন হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
https://www.youtube.com/watch?v=r9vtD-1CbG8
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post