ভিসার কাগজ জালিয়াতি করে প্রতারণার অভিযোগে প্রবাসী সেবা লিমিটেডের এমডি কানিজ ফাতেমাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (৮ মে) মামলার বিষয়টি আদালত সূত্রে জানা গেছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে গত ৫ মে রাসেল মাহমুদ নামে এক ভুক্তভোগী মামলাটি দায়ের করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে অভিযোগের বিষয় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন; প্রতিষ্ঠানটির বিজনেস ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিষ্ট এস এম রেজাউল ও কর্মী হাফিজ ইসলাম।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভুয়া ওয়ার্ক পারমিট ও ভিসা সেন্টারের জাল অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার দিয়ে একেক জন গ্রাহকের কাছ থেকে তিন লাখ ১০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির এমডি।
এমনকি ইউরোপের দেশ পর্তুগালের ভিসার আবেদন জমা দিতে এমডি কানিজ ফাতেমা গ্রাহকদের যেতে বলেন দিল্লির ভিসা সেন্টার ভিএফএস গ্লোবালে।
গ্রাহকেরা সেখানে দিনের পর দিন অপেক্ষা করেও ভিসার আবেদন জমা দিতে পারেননি। একপর্যায়ে বুঝতে পারেন তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
এ বিষয়ে তোফায়েল আহমেদ নামে এক ভুক্তভোগী জানান, আমাকে তারা যে ওয়ার্ক পারমিট দিয়েছে, সেটা র্যাাবের সাবেক ম্যাজিস্ট্রেট, সচিব সারোয়ার আলম স্যারকে দেখিয়েছিলাম।
তিনি দেখেই বুঝে ফেলেছেন যে ওটা ভুয়া। তিনি ফোন করে প্রবাসীর কর্মকর্তাদের টাকা ফেরত দিতে বলেছেন।
তারা টাকা দেয়নি, উল্টো আমার কাছে আরও টাকা দাবি করছে। আমি একজন গরীব মানুষ, তাদের ফাঁদে পা দিয়ে কতগুলো টাকা খোয়ালাম।
সানাউল ইসলাম নামে আরেক ভুক্তভোগী বলেন, এমন প্রতারকের গল্প শুনেছি এতদিন। নিউজ পড়েছি। এখন নিজেই এর শিকার হলাম। তাদের প্রতিনিধি অপেক্ষা করছে বলে দিল্লিতে যেতে বললো।
গিয়ে দেখি কেউ নেই। দুই সপ্তাহ ধরে কেবল হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দেয়, আর একদিন থাকেন, আর একদিন থাকেন। এক সময় বলে, আপনারা যান, আমি আবেদন জমা করে দেবো।
আমার আবেদন আমাকে ছাড়া, পাসপোর্ট ছাড়া সে জমা করে দেবে, এটা সম্ভব? চুক্তি অনুসারে ভিসা না হলে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও গড়িমসি করতে থাকে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কানিজ ফাতেমা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post