দালালদের রোজগারের বড় উপায় এখন সৌদিতে কর্মী পাঠানো। নানা মিথ্যা প্রলোভনে সৌদিতে লোক পাঠিয়ে আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন একেকজন দালাল।
উল্টোদিকে সত্য মিথ্যা যাচাই না করে কেবল লোভের উপর ভরসা করে নিঃস্ব হচ্ছে হতভাগা পরিবারগুলো। বিনা কারণে কেন এই সর্বনাশ প্রশ্ন করলেও নেমে আসে অত্যাচারের খড়গ। ভুক্তভোগী পরিবার বলছে, এসব দালালেরা এখন তাদের কাছে এক মূর্তিমান আতঙ্ক।
গত ৩ বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিয়েছেন প্রায় ৩৩ লাখ বাংলাদেশি। এই সময়ে শুধু সৌদি আরবেই গেছেন প্রায় ১৭ লাখ কর্মী, যা মোট কর্মী রপ্তানির অর্ধেকের বেশি।
বিএমইটির তথ্য অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ এই দেশটিতে বাংলাদেশ সর্বাধিক কর্মী পাঠালেও সেখান থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ না বেড়ে উল্টো ধারাবাহিকভাবে কমছে।
বিএমইটির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে ছাড়পত্র নিয়ে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৪৩৫ জন বাংলাদেশি কর্মী সৌদি আরবে গেছেন।
এর আগে, ২০২৩ সালে ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৪ জন, ২০২২ সালে ৬ লাখ ১২ হাজার ৪১৮ জন, ২০২১ সালে ৪ লাখ ৫৭ হাজার ২২৭ জন কর্মী দেশটিতে যান।
অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাজের নিশ্চয়তা ছাড়া এতো মানুষের একটি দেশে যাওয়া কোনোভাবেই সুখকর কিছু হতে পারেনা। প্রতিকারে কোনো ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post