মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। ঠিক সেই মুহূর্তে নিজ ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন সৌদির এক বাবা। শেষ সময়ে তার এমন উদারতা দেখে অবাক হয়েছেন উপস্থিত কর্মকর্তারা।
আল হুমাইদি আল হারবি নামের ওই বাবা হঠাৎ করে দণ্ড কার্যকরের স্থানে যান। সেখানে গিয়ে ঘোষণা দেন ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন তিনি।
في أجمل صور معاني الصفح والعفو..
"الحميدي الحربي" لـ #الإخبارية: حضرت ساحة القصاص، وتنازلت عن قاتل ابني لوجه الله تعالى دون مقابل
عبر مراسل #الإخبارية طلال الحبشان pic.twitter.com/6Uid2ozxsw
— قناة الإخبارية (@alekhbariyatv) May 6, 2024
ওই হত্যাকারীর দণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নেওয়ার আগে আল হুমাইদি আল হারবির কাছে একাধিকবার গিয়েছিলেন সরকারি কর্মকর্তারা। কিন্তু ওই সময় তিনি ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন।
নিজ ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করার একমাত্র অধিকারী ব্যক্তি ছিলেন ওই বাবা। সেই অনুযায়ী, বিনা শর্তে তিনি হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেন। এতে করে সেখানে থাকা সবাই বেশ অবাক হন।
ওই বাবা জানিয়েছেন, ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও প্রথমে হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরবর্তীতে নিজের মন পরিবর্তন করেন।
ছেলের হত্যারকারীকে ক্ষমা করা ওই বাবার এমন উদারতার প্রশংসা করেছেন সাধারণ মানুষ। তারা এটিকে ক্ষমার একটি অন্যান্য উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
সৌদি আরবে হত্যাকাণ্ডের সর্বোচ্চ শাস্তি হলো মৃত্যুদণ্ড। দেশটিতে শিরশ্ছেদের মাধ্যমে দণ্ড কার্যকর করা হয়। তবে দণ্ড কার্যকরের আগে হত্যার শিকার হওয়া ব্যক্তির পরিবারের কাছে হত্যাকারীর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়। যদি পরিবার ক্ষমা করে দেয় তাহলে দণ্ড কার্যকর করা হয় না।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post