পূর্বের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছাড়িয়েছে ৪২ বিলিয়ন ডলার। কয়েকদিন পর পর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিলিয়ন ডলারের ঘর টপকে যাওয়া এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্বাধীনতার পরে অর্থশূন্য অবস্থায় শুরু হয়েছিল পথচলা। বিদেশ থেকে খাদ্যপণ্য আমদানি করার মতো কোনো অর্থ ছিল না। বিদেশি সাহায্যই ছিল একমাত্র ভরসা। তবে সে অবস্থায় বেশি দিন থাকতে হয়নি।
সরকার ও উদ্যোক্তাদের উদ্যমের ওপর ভর করে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যেতে থাকে। বিজয়ের ৪৯তম বছর শেষে এখন পুরো চিত্রই পালটে গেছে। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত এখন ৪২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘এই প্রথম বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ৪২ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করল। সর্বশেষ গত ২৮ অক্টোবর এই মজুত বিলিয়ন ডলারের ঘর টপকে ৪১.০৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছিল। গতবছর এসময় মজুতের পরিমাণ ছিল ৩২.৩৯ বিলিয়ন ডলার।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মূলত করোনাভাইরাসের ধাক্কায় অর্থনীতিতে সৃষ্ট নেতিবাচক অবস্থার কারণে আমদানি কমে যাওয়ায় মজুত দিন দিন বাড়ছে। গত অর্থবছরে আমদানি ব্যয় ৮.৫৬ শতাংশ কমে ৫৪.৫৬ বিলিয়ন ডলার আমদানি হয়। করোনা মহামারির ধাক্কা না থাকলে যা ৬০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি যেত।
আরো পড়ুনঃ ইতালির নতুন ভিসা প্রত্যাশীদের দুয়ার খুললো
বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বাড়ার অর্থ হলো অর্থনীতির শক্তিশালী হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুত থাকতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ রিজার্ভ দিয়ে কমপক্ষে ১০ মাসের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করা সম্ভব।
জানা গেছে, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর সময়ে আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে রপ্তানি ১৪ কোটি ৬৫ লাখ ডলার বেড়েছে। এই রপ্তানি রিজার্ভ বাড়াতে সহায়তা করেছে। আর রিজার্ভ বাড়াতে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছে প্রবাসী আয়। চলতি অর্থবছরের পাঁচ মাসে দেশে ১ হাজার ৯০ কোটি ৪৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশ মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post