বিদেশে গিয়ে কর্মস্থলে নানা ধরনের হয়রানি, মানবেতর জীবন, এমনকি প্রাণও হারাচ্ছেন অনেক প্রবাসী। এসব বিষয়ে ভুক্তভোগী কিংবা দেশে থাকা স্বজনদের প্রতিকার চেয়ে জনশক্তি কমর্সংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোয় কয়েক হাজার অভিযোগ জমা পড়লেও তা নিষ্পত্তির হার অর্ধেকেরও কম।
বিএমইটির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত পাঁচ বছরে হয়রানি-নির্যাতন নিয়ে সংস্থাটির কার্যালয়ে যত অভিযোগ জমা পড়েছে, তার ৬১ শতাংশ প্রবাসীই কোনো প্রতিকার পাননি। এমনকি যারা প্রতিকার পাচ্ছেন, ক্ষতিপূরণ হিসেবে তার পরিমাণও যৎসামান্য বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
প্রবাসীরা বিএমইটিতে প্রধানত চার ধরনের অভিযোগ করেন। এর মধ্যে বিদেশে গিয়ে চাকরি না পাওয়া, আকামা জটিলতা, বেতন ও চুক্তি অনুযায়ী কাজ না পাওয়া। এসব বিষয়ে সরকারের দপ্তরটিতে অভিযোগ জানালে তা তদন্ত ও অনুসন্ধান শেষে নিষ্পত্তি করে বিএমইটি।
বিএমইটির গত পাঁচ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় প্রবাসে হয়রানি ও নির্যাতনের বিষয়ে যত অভিযোগ পড়েছে তার নিষ্পত্তির হার সবচেয়ে কম।
এর মধ্যে গত বছর অভিযোগ জমা পড়ে মোট ২ হাজার ৩৮০টি। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ৮৬৫টির। সে হিসাবে অভিযোগ নিষ্পত্তির হার ৩৬ শতাংশ। অর্থাৎ ৬৪ শতাংশ অভিযোগেরই কোনো সুরাহা হয়নি।
আর যেসব নিষ্পত্তি হয়েছে তার মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ আদায় হয় ৪ কোটি ৮৭ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম অভিযোগ নিষ্পত্তি হয় ২০২২ সালে। ২০২১ সালে অভিযোগ পড়ে ৫২৮টি, নিষ্পত্তি হয় ২৪০টি।
২০২০ সালে অভিযোগ পড়ে ৯০৫টি, নিষ্পত্তি হয় ৪২৪টি, ক্ষতিপূরণ আদায় হয় ২ কোটি ৪০ লাখ ৪১ হাজার টাকা। বিএমইটির মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর বলেন, অনলাইন ও অফলাইন দুই মাধ্যমেই যাতে অভিযোগগুলো দ্রুত সমাধান করা যায়, সে বিষয়ে কাজ চলছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post