মালদ্বীপের বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সহযোগিতায় দেশে ফিরেছেন গুরুতর অসুস্থ প্রবাসী মো. আনিসুর রহমান।
শুক্রবার (৩ মে) রাত ১১টার দিকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
আনিসুর রহমান কর্মরত অবস্থায় গুরুতর আহত হয়ে একমাস ধরে রাজধানী মালের আইজিএমএএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বৈধ কোন মালিকানা না থাকায় চিকিৎসার ব্যয় বহন করা তার পক্ষে ছিল অসাধ্যকর।
এ অবস্থায় আনিসুর রহমানকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর দায়িত্ব নিয়ে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সহযোগিতায় এয়ার টিকিট প্রদান করেন মালদ্বীপের বাংলাদেশ হাইকমিশন।
মালদ্বীপের বিভিন্ন কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে দৈনিক ভাতায় কাজ করতেন আনিসুর রহমান। কর্মরত অবস্থায় হঠাৎ করে পা সটকে উপর থেকে নিচে পড়ে মাথা এবং পিঠে আঘাত পান তিনি।
দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়েও তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় শুক্রবার হাইকমিশনার রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদের নির্দেশে আনিসুর রহমানের কাছে ছুটে যান মিশনের শ্রম কাউন্সেলর মো. সোহেল পারভেজ।
এমতাবস্থায় আনিসুর রহমানের বৈধ কোন কাগজপত্র না থাকায়, তাকে দেশে পাঠানোর জন্য হাইকমিশন কর্তৃক ফ্রি ট্রাভেল পারমিট ও ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের অর্থায়নে একটি বিমান টিকিট হস্তান্তর করেন মিশন কাউন্সিলর। এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়িক হাদিউল ইসলাম ও মিশনের কল্যাণ সহকারী আল মামুন পাঠান।
একই দিন রাত ১১টায় ঢাকায় পৌঁছানোর পর আনিসুর রহমানকে দ্রুত নিউরো সার্জন হাসপাতালে স্থানান্তর করেন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড। মালদ্বীপ থেকে ঢাকা পর্যন্ত আনিসুর রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন এমআরসির স্বেচ্ছাসেবক এমকে আর কামাল হোসেন।
মো. আনিসুর রহমানের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলা। তিনি পশ্চিম খঞ্জনমারা গ্রামের মোহাম্মদ আবু তালেবের ছেলে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post