যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি পুলিশের কর্মকর্তারা কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে গাজা যুদ্ধবিরোধী ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দিয়েছে। এ সময় বহু বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে তারা।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সাড়ে নয়টার দিকে এই অভিযান চালানো হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাদ্যম বিবিসি।
পুলিশ অভিযান শুরুর প্রায় ২৪ ঘণ্টা আগে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দেওয়া অল্টিমেটামের উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসের হ্যামিল্টন হল দখল করে নিয়ে প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছিল।
দুই সপ্তাহ আগে থেকে এসব বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের আইভি লিগ স্কুলের লনে তাঁবু খাটিয়ে শিবির গেড়ে বিক্ষোভ চালিয়ে আসছিল।
শিক্ষার্থীদের সংবাদপত্র কলাম্বিয়া স্পেকটেটর জানায়, হ্যামিল্টন হলে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে পুলিশ। পুলিশকে ঠেকাতে বিক্ষোভকারীদের অনেকে দরজার বাইরে মানবঢাল তৈরি করেছিলেন।
যদিও কতজনকে আটক করা হয়েছে, তা জানায়নি পুলিশ। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসির তথ্য, হ্যামিল্টন হল থেকে গতকাল শতাধিক বিক্ষোভকারী আটক হয়েছেন।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই সপ্তাহ দুয়েক আগে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে এই বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। ক্যাম্পাসগুলোয় তাঁবু খাটিয়ে চলছে বিক্ষোভ।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁবু সরিয়ে নিতে এবং বিক্ষোভ বন্ধ করতে গত সোমবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা উপেক্ষা করেন বিক্ষোভকারীরা। এর জেরে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করতে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গতকাল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র বেন চাং বলেছেন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরবর্তী ধাপের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কারের পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
তারপরই হ্যামিল্টন হল দখল করেন বিক্ষোভকারী। বিক্ষোভকারীরা ভবনে ‘হিন্দস হল’ লেখা একটি ব্যানার ঝুলিয়ে দেন। এক বিবৃতিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ছয় বছরের শিশু হিন্দ রজবের সম্মানে তাঁরা এ কাজ করেছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post