ওমানে কোনে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি কারো আর্থিক সম্পত্তি আত্মসাৎ করে, প্রদানে অস্বীকার বা ধ্বংস করে অথবা গোপন করার মতো অপরাধে অভিযুক্ত হয়, তাহলে তাকে এক থেকে তিনবছরের জেল এবং একহাজার ওমানি রিয়াল জরিমানা করা হবে।
আজ দেশটির পাবলিক প্রসিকিউশন এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কারো সম্পত্তি আত্মসাতের অপরাধে প্রমাণিত হলে তাকে এক থেকে তিন বছরের জেল ও এক হাজার ওমানি রিয়াল জরিমানা করা হবে। আর্থিক অপরাধে প্রমাণিত মামলার রায় দিতে নতুন এই জারি করা হয়েছে।
পাবলিক প্রসিকিউশন আরো জানিয়েছে, “কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর যখন কোনো স্থায়ী বা চলমান সম্পত্তির দায়িত্ব দেওয়া হয়, তখন সেই সম্পত্তি রক্ষা করা তার দায়িত্ব। কিন্তু কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি সেই দায়িত্ব না মেনে সেই সম্প্রতি আত্মসাতের চেষ্টা করে এবং তা আদালতে প্রমাণিত হয়, তাহলে তাকে এক থেকে তিন বছরের জেল ও এক হাজার ওমানি রিয়াল জরিমানা করা হবে।”
আরো পড়ুনঃ বৈধভাবে কানাডা যাবেন যেভাবে
এদিকে চলতি বছর ওমানে সবচেয়ে বেশি জরিমানা করা হয়েছে মাস্ক না পরার কারণে, বিষয়টি জানিয়েছেন দেশটির রয়্যাল ওমান পুলিশ (আরওপি)। করোনা সর্তকতায় প্রকাশ্যে মাস্ক না পরার কারণে এই জরিমানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আরওপি’র জনসংযোগ অধিদপ্তরের প্রধান মেজর মোহাম্মদ বিন সালাম আল হাসামি।
তিনি বলেন, বর্তমানে আরওপি’র জরিমানার কারণে এই অপরাধের পরিমাণ কিছুটা কমে আসা শুরু হয়েছে। এটি সমাজের ব্যক্তিদের সচেতনতার জন্য করা হয়েছে। প্রকাশ্য স্থানে থাকা অবস্থায় মাস্ক না পরার কারণে জরিমানার পাশাপাশি অনেক ব্যক্তিকে আটক করেছে বলেও জানান তিনি।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রোগ নজরদারি ও রোগ নিয়ন্ত্রণের মহাপরিচালক ডঃ সাইফ বিন সেলিম আল আব্রি বলেন, গত কয়েকমাস ধরে নিবন্ধিত করোনা রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমে আসা শুরু করেছে। যদিও সংক্রমণের ঘটনাগুলি স্থানীয় ও বিশ্বব্যাপী ওঠানামা অব্যাহত রয়েছে। ওমানে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়াও ওমানে ফিরে আসতে ইচ্ছুক নাগরিকদের জন্য মেডিকেল টেস্টের রিপোর্ট অবশ্যই আনতে হবে।”
আরো পড়ুনঃ মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসা নবায়ন করতে পারবে ওমান প্রবাসীরা
সাম্প্রতিক দেশটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পুনরায় চালু হওয়া সত্ত্বেও, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ আহমেদ বিন মোহাম্মদ আল সাইদী বলেন, ভাইরাসের বিস্তার রোধে গৃহীত ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। ব্যবসায়ের মতো এটি কোনো স্বাভাবিক শর্ত নয়।
ভাইরাস সংক্রমণের হার বেড়ে গেলে আবারও লকডাউন হতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভোগা কর্মীদের কর্মস্থলে না যাওয়া। দেশের স্কুল, কলেজ বা ইন্সটিটিউটে শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ উপস্থিতি সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ওমানের মহামারী পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।”
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post