খুব সহজেই সপরিবারে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ দিচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের দেশ পর্তুগাল। আইবেরীয় উপদ্বীপের পশ্চিম অংশে আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত দেশটি।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবৈধভাবে বসবাসরত প্রবাসীরাও চাইলে পর্তুগালে এসে বৈধতা নিতে পারেন। পর্তুগালে পেনশনভোগী, অবসরগ্রহণকারী, ষাটোর্ধ অথবা যাদের নির্দিষ্ট পরিমাণের আয় রয়েছে তারা ডি-৭ ক্যাটাগরি ভিসায় আবেদন করে স্থায়ী হওয়ার সুযোগ পেতে পারেন।
পর্তুগাল ইউরোপের বাইরের তৃতীয় দেশের ক্ষেত্রে মাইগ্রেশন প্রক্রিয়াটা খুবই সহজ এবং নমনীয়। যে কেউই খুব সহজে এখানে থাকার ইচ্ছা পোষণ করলে ন্যূনতম শর্তে বসবাস করার সুযোগ পায়। বিশেষ করে যাদের হস্তান্তরযোগ্য সম্পত্তি, রিয়েল এস্টেট, ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি বা বিনিয়োগে সক্ষম তারাই এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের দ্বিতীয় শ্রম বাজার ওমান
তবে এই ভিসা ক্যাটাগরিতে বিনিয়োগের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। ভিসা পাওয়ার পরে প্রথমে দুই বছরের রেসিডেন্ট পারমিট যা নবায়নযোগ্য এবং ৫ বছর পরে নাগরিকত্ব আবেদন করতে পারবে। তাছাড়া পরিবারের সকল সদস্যদের এর আওতায় নিয়ে আসতে পারবে।
পর্তুগালে বসবাসের পাশাপাশি কাজ, পড়াশোনা এবং ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশ সমূহে অবাধ চলাচলের সুযোগ থাকবে। এছাড়া পর্তুগিজ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, শিক্ষা এবং সামাজিক নিরাপত্তা সুরক্ষার আওতায় থাকবে।
আরো পড়ুনঃ বৈধভাবে কানাডা যাবেন যেভাবে
জানা গেছে, এই ভিসার অন্যতম শর্ত হলো আবেদনকারীদের ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাহিরের নাগরিক হতে হবে। গ্রহণযোগ্য নিয়মিত একটি অর্থনৈতিক অবস্থা থাকতে হবে এবং স্ব স্ব দেশের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিপোর্ট প্রদান করতে হবে।
বাৎসরিক ৭৬২০ ইউরোর ওপর আয়ের প্রমাণ দাখিল করতে হবে। পরিবারের প্রতি প্রাপ্ত বয়স্ক সদস্যের জন্য ৩৮১৬ ইউরো এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২২৯২ ইউরো আয়ের প্রামাণিক দলিল উপস্থাপন করতে হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post