দালাল চক্রের মাধ্যম ছাড়া কোনো ফাইল নড়ে না ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে। অফিসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সদস্যরা দালাল চক্রের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যের কথা স্বীকার করে অফিস প্রধানসহ সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রযুক্তি নির্ভর ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ায় দালালদের অপতৎপরতার ও গ্রাহক ভোগান্তি অনেকটাই কমে আসবে।
ব্যাংকে টাকা জমার রশিদ এবং পাসপোর্ট অফিসের নিজস্ব ফরমে ছবিসহ আবেদন করার পরও হয় না আবেদন। এটা নেই সেটা নেই বলে এই কক্ষ থেকে ওই কক্ষে ঘুরাতে থাকেন দিনের পর দিন।এমন অভিযোগ একাধিক প্রবাসীর।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আসা নাটাই উত্তর ইউনিয়নের ক্ষুদ্র গ্রামের সৌদি প্রবাসী আলামিন মিয়ার স্ত্রী নিলুফা আক্তার বলেন, দালাল ছাড়া পাসপোর্টের আবেদন জমা দেওয়ায় একপর্যায়ে তাকে পুলিশ দিয়ে বের করে দেয়া হয়।
পরে কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা দালালের মাধ্যমে তাকে আবেদনের পরামর্শ দেন। শুধু নিলুফাই নন এমন ভোগান্তির শিকার পাসপোর্ট অফিসে আসা অনেকেরই।
আরো পড়ুনঃ মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসা নবায়ন করতে পারবে ওমান প্রবাসীরা
পাসপোর্ট অফিসে সংঘবদ্ধ চক্রের হয়রানির কথা তুলে ধরে পাসপোর্ট অফিসকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সচেতন কমিটির সহ-সভাপতি আবদুন নূর। তবে চলমান ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হওয়ায় গ্রাহক ভোগান্তি অনেকাংশে কমে আসবে বলে দাবি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক শরিফুল ইসলামের।
তিনি বলেন, যেহেতু অনলাইনে আবেদন করে সিট নিয়ে আসবেন সেহেতু ভবিষ্যতে দালাল একেবারেই থাকবে না। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ্-দৌলা খান বলেন, ইতোমধ্যে আমরা এ অফিসে কথা বলেছি, তারা আশ্বস্ত করেছে এ ধরনের বিষয়গুলোর যথাযথ সমস্যার সমাধান করবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post