বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য কুয়েতের শ্রমবাজার আবার উন্মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
গত ১৯ এপ্রিল কুয়েতের গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, শ্রমবাজারে বিদেশি কর্মী নিয়োগে সব ধরনের বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। যে নিয়ম পহেলা জুন থেকে কার্যকর হবে।
অভিবাসনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, সব ধরনের বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়া হলে কুয়েতের শ্রমবাজারে খুব সহজে এবং কম খরচে অধিক কর্মী পাঠানো সম্ভব হবে।
রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো বলছে, বিধি-নিষেধের ফলে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে কর্মী পাঠানোর ব্যাপারটি অধিক ব্যয়বহুল ও জটিল ছিলো। খুব অল্পসংখ্যক কর্মীই কুয়েতে যেতে পারতেন। তবে কুয়েতের শ্রম বিভাগ সর্বসম্মতিক্রমে আগের পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই নতুন নিয়মে কর্মী পাঠানো বাড়বে।
প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, দেশটির যেসব প্রতিষ্ঠান বিদেশি কর্মী নিয়োগ দিতে আগ্রহী, তাদের প্রথমে কুয়েতে অবস্থানরত বেকার বিদেশি কর্মী থেকে নিয়োগ দিতে হত। এরপর তাদের কর্মী চাহিদার একটি নির্দিষ্ট অংশে শুধু নতুন বিদেশি কর্মী নিয়োগ দেওয়া যেত। ১ জুন থেকে এই নিয়ম আর থাকছে না।
বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৬ থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ছয় লাখ ৯৬ হাজার ৮৮৯ জন বাংলাদেশি কর্মী কুয়েতে গেছেন। এর মধ্যে ১৯৭৬ থেকে ২০১৬ সালের মার্চ পর্যন্ত ৪০ বছরে পাঁচ লাখ পাঁচ হাজার ৪৭ জন বাংলাদেশি গেছেন।
২০১৬ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত আট বছরে গেছেন এক লাখ ৯১ হাজার ৮৪২ জন। তবে বাজার পুরোপুরি চালু হলে বছরে ৫০ হাজারের বেশি কর্মীর কুয়েতে কর্মসংস্থান হতে পারে। এতে বাড়বে রেমিট্যান্সের গতিও।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post