বিশ্বব্যাপী করোনার ভয়াবহ তাণ্ডব শুরু হলেও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে ওমানের করোনা পরিস্থিতি। দেশটিতে কমছে আক্রান্ত এবং বাড়ছে সুস্থ রোগীর সংখ্যা। এদিকে চলতি মাসে করোনা ভ্যাকসিন পাওয়ার কথাও জানিয়েছে দেশটি। সবকিছু মিলিয়ে করোনা মহামারী কাটিয়ে নতুন সূর্য উদিত হতে যাচ্ছে ওমানে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সবাই।
বৃহস্পতিবার ওমান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুসারে দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ১৮৪ জন এবং মৃতের সংখ্যা ৫ জন। গতকালের তুলনায় আজ আক্রান্ত কমেছে ৫৩ জন। তবে গতকালের চেয়ে আজ মৃত বেড়েছে ৫জন।
দেশটিতে সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২৪ হাজার ৩২৯ জন এবং মৃত ১ হাজার ৪৩৫ জন। অপরদিকে দেশটিতে নতুন ২৫৩ জন সুস্থ সহ মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ১৫ হাজার ৮৬৬ জন, যা মোট আক্রান্তের ৯৩.২ শতাংশ রোগী এখন সুস্থ।
আরো পড়ুনঃ ভ্যাকসিন নিয়ে সুখবর দিলো ওমান
মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা মাত্র ২৫ জন। এখন পর্যন্ত দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন ২০২ জন। যাদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউতে) রয়েছেন ১০৬ জন। দেশটিতে চলতি মাসের মধ্যেই করোনা ভ্যাকসিন সংগ্রহে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে ওমান সরকার।
এদিকে আগামী শনিবার থেকে বাংলাদেশে শুরুহচ্ছে করোনা নির্ণয়ে র্যাপিড টেস্ট। অনুমোদনের দুই মাস পর অবশেষে করোনা নির্ণয়ে দেশে র্যাপিড টেস্ট শুরু হচ্ছে শনিবার থেকে। প্রাথমিকভাবে দশটি জেলায় শুরু হচ্ছে এই কার্যক্রম। যেসব এলাকায় পিসিআর টেস্টের ব্যবস্থা নেই সেই এলাকায় পাঠানো হবে র্যাপিড টেস্ট কিট। এরই মধ্যে এক লাখ কিট আনা হয়েছে, শিগগিরই আসছে আরো এক লাখ।
আরো পড়ুনঃ মুক্তি পেলেন হুথিদের হাতে জিম্মি ৫ ওমান প্রবাসী বাংলাদেশী
করোনার সঙ্গে প্রায় নয় মাস কাটিয়ে দেয়ার পরেও এখনো শনাক্তে একমাত্র নির্ভর করতে হচ্ছে পিসিআর টেস্ট। ল্যাবের সংখ্যা এক থেকে ১০০ হলেও বিশেষজ্ঞরা বারবারই বলে আসছেন প্রয়োজনের তুলনায় কম। সেক্ষেত্রে র্যাপিড টেস্টেরই তাগিদ দিচ্ছিলেন তারা।
এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ারও প্রায় দু মাস পরে অবশেষে র্যাপিড টেস্ট শুরু করছে সরকার। প্রথম দিকে জেলা শহরগুলোতে পাঠানো হবে টেস্ট কিট। পিসিআর টেস্ট নেই এমন দশটি জেলায় এরইমধ্যে পৌঁছে গেছে কিট। শরীর থেকে রক্ত নিয়ে কিটের মাধ্যমে তা থেকে প্লাজমা আলাদা করে ভাইরাস টেস্ট করাকে অ্যান্টিজেন টেস্ট বলে। এরই মধ্যে এই কার্যক্রমের দক্ষতা বাড়াতে দেয়া হয়েছে প্রশিক্ষণ।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে আমরা কিছু কিট পেয়ে গেছি। আরও কিছু কিট আসছে। খুবই শিগগিরই আমরা অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু করতে পারবো। তবে যেসব জেলাতে করোনা ল্যাব নেই, সেসব জেলাকে বেশি গুরুত্ব দেবো। কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের মাধ্যমে এরই মধ্য কেনা হয়েছে দুই লাখ কিট, যার অর্ধেক এরই মধ্যে বিতরণ হয়েছে বাকিটা হাতে আসবে সামনের সপ্তাহে। এছাড়া দাতা সংস্থার অনুদানেও মিলবে বেশ কিছু কিট, তাই সংকটের শঙ্কা নেই।
আরো পড়ুনঃ ওমানে অবৈধ প্রবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালক আবু হেনা মোর্শেদ জামান বলেন, ইতোমধ্যে ১ লাখ কিট আমাদের কাছে পৌঁছেছে। আরও ১ লাখ এর সঙ্গে যুক্ত করা হবে। এছাড়া সবসময় কিট ক্রয় অব্যাহত থাকবে।
এই টেস্টের মাধ্যমে মাত্র ১৫ মিনিটেই মিলবে করোনা পরীক্ষার ফল। যা ৭০ শতাংশ পর্যন্ত সঠিক ফলাফল দেয়। করোনা মহামারিতে এক সঙ্গে অনেক বেশি মানুষকে পরীক্ষার আওতায় আনতে বিশ্বের অনেক দেশেই এই পদ্ধতি চালু আছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post