যুদ্ধক্ষেত্রে কোণঠাসা ইউক্রেন ন্যাটোর সহায়তায় নিজস্ব আকাশসীমায় সুরক্ষা বাড়ানোর চেষ্টা করছে৷ প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সেই লক্ষ্যে বৈঠক ডাকছেন ৷ এদিকে মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেনের জন্য সহায়তায় অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে ৷
ইরানের হামলা থেকে ইসরায়েলকে রক্ষা করতে অ্যামেরিকাসহ পশ্চিমা শক্তিগুলি যে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে, তার ভগ্নাংশও ইউক্রেনের ক্ষেত্রে দেখা গেলে রাশিয়ার হামলা থেকে সুরক্ষা অনেক মজবুত হবে বলে মনে করিয়ে দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি ও সে দেশের সামরিক নেতৃত্ব৷ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের অভাবের কারণে ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রে কোণঠাসা হয়ে পড়ছে ৷
এমন প্রেক্ষাপটে জেলেনস্কি মরিয়া হয়ে ন্যাটো-ইউক্রেন পরিষদের বৈঠক ডাকতে চান৷ ইউক্রেনের আকাশসীমার আরো সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সহযোগীদের কাছ থেকে তিনি বাড়তি ক্ষেপণাস্ত্র ও এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা চাইছেন৷ গত সপ্তাহান্তে ইসরায়েলের উপর ইরানের বিশাল ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা যেভাবে মোকাবিলা করা হয়েছিল, ইউক্রেনের আকাশেও সে রকম নিরাপত্তার ছাতা মেলে ধরতে চান জেলেনস্কি ৷
জেলেনস্কি তার বক্তব্যে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের ভূমিকারপ্রশংসা করেন৷ চীন সফরের সময়ে শলৎস যেভাবে সে দেশের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে আলোচনায় ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছেন, ইউক্রেনর প্রেসিডেন্ট সেই উদ্যোগকে ভালো চোখে দেখছেন ৷
জেলেনস্কি বলেন, চীন সত্যি ইউক্রেনে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে৷ উল্লেখ্য, আগামী জুন মাসে সুইজারল্যান্ডে ইউক্রেন সংক্রান্ত শান্তি সম্মেলনে চীনের অংশগ্রহণকে ঘিরে আশা দেখছেন ইউক্রেনের নেতৃত্ব৷ তবে চীনের নিজস্ব শান্তির উদ্যোগ সম্পর্কে সংশয় থেকে যাচ্ছে ৷
এদিকে ইউক্রেনের জন্য ধার্য মার্কিন প্রশাসনের প্রায় ৬০০ কোটি ডলার মূল্যের সামরিক সহায়তা অবশেষে রাজনৈতিক জটিলতা কাটিয়ে অনুমোদনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে৷ মার্কিন সংসদের নিম্ন কক্ষের স্পিকার মাইক জনসন অবশ্য ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানসহ কিছু দেশের জন্য বিশাল প্যাকেজ ভেঙে আলাদা করে অনুমোদনের উদ্যোগ নিচ্ছেন ৷
হোয়াইট হাউস সেই প্রস্তাবের খুঁটিনাটী বিষয় খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে৷ উল্লেখ্য, প্রায় দুই মাস আগে উচ্চ কক্ষ সেনেট ৯৫০ কোটি ডলার অংকের সম্মিলিত প্রস্তাব অনুমোদন করেছিল ৷
মঙ্গলবার স্পিকার জনসনের পরিবর্তিত প্রস্তাব শেষ পর্যন্ত ডেমোক্র্যাট দলের সম্মতি পেলেও সেনেটকে আবার নতুন করে ভোটাভুটির পথে যেতে হবে ৷ ফলে গোটা প্রক্রিয়ায় আরো বিলম্ব ঘটবে ৷ জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এমন বিলম্ব সম্পর্কে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ডেমোক্র্যাট দলের অনেক নেতা ৷ তাছাড়া প্রতিটি দেশের জন্য সাময়িক সহায়তার প্রশ্নে আলাদা প্রস্তাবের কারণে কোন দেশকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, সে বিষয়েও দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতে পারে৷ আপাতত মোট চারটি বিলের খসড়ার কথা শোনা যাচ্ছে ৷
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post