ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলার দু’দিন আগেই সৌদি আরব ও উপসাগরীয় দেশগুলোকে জানিয়েছিলেন ইরানের কর্মকর্তারা। যাতে হামলার সময় এসব দেশ তাদের আকাশসীমা রক্ষা করতে পারে।
তবে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সে তথ্য যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলের সংবাদপত্র হারেৎজ।
এদিকে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলকে নাকি সৌদি আরব সহযোগিতা করেছে বলেও একটি ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে। তবে এমন দাবি নাকচ করেছে সৌদি আরব।
যদিও সৌদি আরবের সরকারি ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে সহযোগিতার কথা জানিয়েছিল ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম। বিষয়টি নিয়ে সৌদি গণমাধ্যম আল আরাবিয়া নিউজ নিজেদের সোর্সের মাধ্যমে এই খবর যাচাই করতে গেলে ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
ওই সোর্স আল আরাবিয়াকে নিউজ জানিয়েছে, সরকারের কোনো অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ইসরায়েলে ইরানি হামলার ঠেকাতে সৌদি আরবের অংশগ্রহণের বিষয়ে কিছুই ছাপানো হয়নি।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ইসরায়েল হামলা চালায়। এতে একাধিক ইরানি সামরিক কমান্ডার নিহত হন। এর জবাবে শনিবার ইসরায়েলের ভূখণ্ডে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় ইরান। যদিও ইরানি মিসাইল এবং ড্রোনের ৯৯ শতাংশই আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করেছে ইসরায়েল এবং তার মিত্ররা।
বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ ইসরায়েলকে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের মাত্রা বৃদ্ধি এড়িয়ে যেতে আহ্বান জানিয়েছে আসছে, কিন্তু ইসরায়েলের সামরিক প্রধান বলেছেন, দেশটি ইরানের হামলার জবাব দেবে। ইসরায়েলের সামরিক চিফ অফ স্টাফ হারজি হালেভি বলেছেন, তার দেশ এই হামলার জবাব দেবে। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি তিনি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post