আল শারকিয়্যার মুধাইবির স্কুলগুলো হয়ে পড়েছিলো একেকটা মৃত্যুকূপ। সবমিলিয়ে রোববার নিহত ১২ ব্যক্তির মধ্যে অন্তত ৯ জন স্কুল শিক্ষার্থী ছিলেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। একইদিন স্কুল থেকে অন্তত ২ হাজার পানিবন্দী শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে রেস্কিউ টিমের সদস্যরা।
এদিকে ঝুঁকি মোকাবেলায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওমান সরকার। সোমবার মাস্কাট, উত্তর ও দক্ষিণ আল শারকিয়্যাহ ও আল দাখিলিয়ার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
এবার ওমানের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ওমানের স্কুল শিক্ষার্থীরা। দিনের বেলায় ক্লাস করতে গিয়ে স্কুল বিল্ডিংয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন তারা। এরমধ্যেও অনেকে স্কুল ছাড়তে গিয়ে বন্যার কবলে পড়েছেন, কেউ কেউ ভেসে গেছেন গাড়ি নিয়ে।
অন্যান্য যায়গাতেও পানিবন্দী হয়ে পড়া মানুষকে উদ্ধারে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল। হেলিকপ্টার দিয়েও চলছে উদ্ধার কার্যক্রম। ওয়াদিতে ভেসে যাওয়া গাড়ি থেকে যাত্রীদের তুলে আনতে কৌশলী অপারেশন দেখা গেছে দিনভর।
যদিও তীব্র পানির স্রোত এবং বন্যার পানি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় উদ্ধার কার্যক্রমে হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। জানা গেছে, আগামী বুধবার সন্ধ্যা বা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলমান এই বৈরী আবহাওয়া স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post