একটি বিমান শনিবার চণ্ডীগড়ে জরুরি অবতরণ করে। দিল্লিতে যাওয়ার কথা ছিল ওই বিমানের। খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিমানটি চণ্ডীগড়ে নামাতে বাধ্য হন চালক। জরুরি অবতরণের পর বিমানের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন যাত্রীরা। বিমান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগও তোলা হয়েছে।
শনিবার বিকাল ৩টা ২৫-এ অযোধ্যা বিমানবন্দর থেকে রওনা দেয় ইন্ডিগোর ৬ই২৭০২ বিমানটি। ৪টা ৩০ মিনিটে দিল্লিতে নামার কথা ছিল সেটির। ওই বিমানের এক যাত্রী জানিয়েছেন, মাত্র দু’মিনিটের জ্বালানি বাকি থাকতে তাঁদের চণ্ডীগড়ে নামানো হয়েছে। আর সামান্য দেরি হলেও বড়সড় বিপদ ঘটতে পারত। যাত্রী এবং বিমানকর্মীদের প্রাণ সংশয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল বলে দাবি করেছেন ওই যুবক।
দিল্লিতে নামার ১৫ মিনিট আগে পাইলট এসে তাঁদের জানান, দিল্লিতে খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিমান নামানো যাচ্ছে না। বাকি আছে ৪৫ মিনিটের জ্বালানি। এর পর বিমানটিকে দু’বার দিল্লিতে অবতরণের চেষ্টা করা হয়। যাত্রীর অভিযোগ, দিল্লিতে বিমান নামানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে সময় নষ্ট করেছেন পাইলট। পরে ওই বিমানটিকে নিকটবর্তী অন্য বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাতেও বেশ খানিকটা সময় নষ্ট হয় বলে জানিয়েছেন ওই যাত্রী।
অভিযোগ, বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ যাত্রীদের জানানো হয়, বিমানটিকে চণ্ডীগড়ে অবতরণ করানো হবে। খারাপ আবহাওয়ার ঘোষণার পর ইতিমধ্যে ৭৫ মিনিট অতিক্রান্ত হয়েছে। অথচ, তখন তাঁদের বলা হয়েছিল, মাত্র ৪৫ মিনিটের জ্বালানি বাকি। এর আরও ৪০ মিনিট পর বিমানটি চণ্ডীগড়ের মাটি ছোঁয়। কেউ কেউ ভয়ে বমি করতেও শুরু করেন বিমানের মধ্যে। অবশেষে ৬টা ১০ মিনিটে চণ্ডীগড়ে নামে বিমানটি।
ওই পোস্টে ডিজিসিএ এবং অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন যুবক। বিমান চালানোর যাবতীয় নিয়ম ঠিক ভাবে মানা হয়েছিল কি না, সে বিষয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। ইন্ডিগোর তরফে এখনও এই ঘটনা সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
আরও দেখুন
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post