প্রতি মাসে বিদেশ থেকে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স আসে, তার বড় অংশই আসে ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন ব্যাংকের শাখাগুলোতে। রেমিট্যান্স আসার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম। এরপরই রয়েছে সিলেট, কুমিল্লা ও নোয়াখালী।
বাংলাদেশ ব্যাংকের জেলাভিত্তিক প্রবাসী আয়ের আট মাসের (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে চট্টগ্রাম বিভাগে। জুলাই-ডিসেম্বরে চট্টগ্রামে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৩০৫ কেটি ৪৩ লাখ মার্কিন ডলার। সিলেট বিভাগে ১২০ কোটি ৪১ লাখ ডলার, খুলনা বিভাগে ৩৪ কোটি ৯৭ লাখ ডলার, রাজশাহী বিভাগে ২৭ কোটি ৪ লাখ ডলার, বরিশাল বিভাগে ২১ কোটি ৫২ লাখ ডলার, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৫ কোটি ৬১ লাখ ডলার ও রংপুর বিভাগে ১০ কোটি ৯৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
আর সদ্যবিদায়ী ডিসেম্বরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। যা বিগত ৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এর আগে ২২ অক্টোবর থেকে বৈধ চ্যানেলে ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী আয় দেশে পাঠালে প্রতি ১০০ টাকায় প্রণোদনার সঙ্গে প্রবাসীদের বাড়তি আরও আড়াই শতাংশ বেশি অর্থ দেয়ার নির্দেশনা কার্যকর করে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সরকারের দেয়া আড়াই শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি অতিরিক্ত আরও আড়াই শতাংশ অর্থ বেশি দিয়ে রেমিট্যান্স কিনতে পারবে ব্যাংকগুলো।
ব্যাংক সংশ্লিষ্টদের মতে, বাড়তি প্রণোদনা পাওয়ায় বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো বাড়িয়েছেন প্রবাসীরা। সামনে এর পরিমাণ আরও বাড়বে।
ডিসেম্বরে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৯ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৩০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭২ কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫২ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, ২৩ থেকে ৩১ ডিসেম্বর দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২ কোটি ৩ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। ডিসেম্বরের ১৬ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত দেশে এসেছে ৪৯ কোটি ৯৭ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ৯ থেকে ১৫ ডিসেম্বর দেশে এসেছে ৫৩ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। আর ডিসেম্বরের প্রথম ৮ দিনে ৫৩ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।
ডিসেম্বরে ঢাকায় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে ৯৫ কোটি ৬৪ লাখ মার্কিন ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে চট্টগ্রাম বিভাগে। ডিসেম্বরে চট্টগ্রামের প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৫৮ কেটি ৬৪ লাখ ডলার। সিলেট বিভাগে ২০ কোটি ১৫ লাখ ডলার, খুলনা বিভাগে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার, রাজশাহী বিভাগে ৬ কোটি ৩২ লাখ ডলার, বরিশাল বিভাগে ৪ কোটি ৩৩ লাখ ডলার, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ডলার ও রংপুর বিভাগে ২ কোটি ৩৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
এদিকে নভেম্বর মাসে ১৯৩ কোটি ৪০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আর গত অক্টোবর, সেপ্টেম্বর, আগস্ট ও জুলাইতে এসেছে যথাক্রমে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার, ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার, ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, ৫০ হাজার ও ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
আর গত অর্থবছরের জুলাইতে ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার, আগস্টে ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ৩০ হাজার, সেপ্টেম্বরে ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ, অক্টোবরে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ৪০ হাজার, নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ৫১ লাখ ৭০ হাজার, ডিসেম্বরে ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ, জানুয়ারিতে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার, ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ৪ লাখ ৮০ হাজার, মার্চে ২০২ কোটি ২৪ লাখ ৭০ হাজার, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার, মে মাসে ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ও জুন মাসে এসেছিল ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post