ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধের প্রেক্ষিতে এয়ার ইন্ডিয়া রবিবার অস্থায়ীভাবে তেল আবিবের বিমান স্থগিত করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। সংস্থার এক কর্তা জানিয়েছেন, দিল্লি ও তেল আবিবের মধ্যে সরাসরি বিমান আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে।
উল্লেখ করা প্রয়োজন এয়ার ইন্ডিয়া দিল্লি ও ইজরায়েলের মধ্যে সপ্তাহে চারটি বিমান চালায়। পাঁচ মাসের বিরতির অবসান ঘটিয়ে টাটা গ্রুপের মালিরানাধীন এয়ার ইন্ডিয়া গত ৩ মার্চ থেকে বিমান পরিসেবা পুনরায় শুরু করে। প্রসঙ্গত ইজরায়েলের হামাসের হামলার পর ২০২৩-এর ৭ অক্টোবর তেল আবিব থেকে বিমান স্থগিত করে দেওয়া হয়।
ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে ভারতের বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া এবং ভিস্তারা ইরানের আকাশসীমা এড়াতে তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল গত ১৩ এপ্রিল। মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে বিমান সংস্থাগুলি সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলের কাছাকাছি রুট এড়িয়ে যাত্রী ও ক্রু নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। পশ্চিম এশিয়ার এই উত্তেজনা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সারা বিশ্বে বিমান ভ্রমণেও কালো ছায়া ফেলেছে।
যে কারণে বিমান সংস্থাগুলি যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগাম ব্যবস্থা নিচ্ছে। শনিবার গভীর রাতে ইরান ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালায়। দামাস্কাসে ইরানি দূতাবাসে ইজরায়েলের হামলার প্রতিশোধ নিতে ইরান হামলা চালিয়েছে। যদিও ইজরায়েল দাবি করেছে ৯৯ শতাংশ হামলা তারা প্রতিরোধ করেছে। ইরান দীর্ঘদিন ধরে লেবাননে থাকা হিজবুল্লাকে সমর্থন করলেও নিজের ভূখণ্ড থেকে ইজরায়েলের ওপরে হামলা এই প্রথম।
শনিবার গভীর রাতে হামলার পরে ইরান আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, তারা যদি ইজরায়েলকে সাহায্য করে, তাহলে তাদের বেসে হামলা করা হবে। যদিও আমেরিকা আগে থেকেই ইজরায়েলকে সবরকমের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং ১৫ এপ্রিল জি সেভেন গোষ্ঠী ভুক্ত দেশগুলির বৈঠক আহ্বান করেছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post