মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্ততায় মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে আরব দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিকের পথে হাঁটছে ইসরায়েল। এবার তারই ধারাবাহিকতায় ইসরায়েলকে নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে সৌদি আরব।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ট্রাম্পের জামাতা ও হোয়াইট হাউসের শীর্ষ উপদেষ্টা জেরার্ড কুশনারের সঙ্গে সৌদি কর্মকর্তাদের বৈঠকের পর ইসরায়েলি বিমান চলাচলে আকাশপথ ব্যবহারের বিষয়ে রাজি হয়েছে দেশটি। সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, আমরা এ বিষয়টি মিটমাট করতে সক্ষম হয়েছি।
জেয়ার্ড কুশনার এবং তার একটি টিম সৌদি সফরের পর কাতারে যাবেন। প্রতিবেশী উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যকার দীর্ঘদিনের সংকট সমাধানে ওই দুই দেশের সঙ্গে আলোচনা করবেন তারা। সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় বেশ কিছু আরব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের পথে হাঁটছে ইসরায়েল। ইতোমধ্যেই অনেক দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের চুক্তিও হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ যে শর্তে নতুন ভিসা দিচ্ছে ওমান
এবার তারই ধারাবাহিকতায় ইসরায়েলকে নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে সৌদি আরব। ফলে এখন থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী ইসরায়েলের বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের বিমান সৌদির আকাশপথ ব্যবহার করতে পারবে।
কুশনার, যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যপাচ্যের বিশেষ দূত আভি বেরকোয়িতজ এবং মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ উপদেষ্টা ব্রায়ান হুক সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রথমেই এ বিষয়টি তুলি ধরেন। সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, আমরা এ বিষয়টি মিটমাট করতে সক্ষম হয়েছি।
আরো পড়ুনঃ আগামী সপ্তাহ থেকে ভ্যাকসিন বিতরণ শুরু করবে আমেরিকা
জেয়ার্ড কুশনার এবং তার একটি টিম সৌদি সফরের পর কাতারে যাবেন। প্রতিবেশী উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যকার দীর্ঘদিনের সংকট সমাধানে ওই দুই দেশের সঙ্গে আলোচনা করবেন তারা। সাম্প্রতিক সময়ে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং সুদানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলের চুক্তি হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বরাবরই এসব চুক্তির পেছনে নিজের সফলতাকে তুলে ধরছেন। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের আগেই এমন আরও কিছু চুক্তির ক্ষেত্রে আশানুরূপ ফলাফল দেখতে চান তারা। সে কারণেই এসব দেশের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন ট্রাম্পের জামাতা।
চলতি সপ্তাহের শেষে কুশনার এবং তার একটি টিম কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন বলে জানানো হয়েছে।
প্রায় তিন বছর ধরে কাতারের সঙ্গে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মিসর সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যকার এসব সংকট সমাধানকে কুশনারের এই সফরে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
সন্ত্রাসবাদে সমর্থন ও ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার অভিযোগে ২০১৭ সালে কাতারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে চার আরব দেশ। যদিও সব ধরনের অভিযোগ প্রথম থেকেই অস্বীকার করে আসছে দোহা। দেশটির অভিযোগ তাদের সার্বভৌমত্বে আঘাত হানার চেষ্টা করছে এসব দেশ। সেসময় কাতারের সঙ্গে স্থল, জল ও আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিতে দেশটির ওপর ১৩টি শর্ত বেধে দেওয়া হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post