দু’টি কৃত্রিম দ্বীপের উপর তৈরি হয়েছে জাপানের কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ২৯ বছর আগে ১৯৯৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সাধারণের জন্য দরজা খোলে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি।
এক প্রতিবেদনে সংবাদ সংস্থা আনন্দবাজার জানায়, যে দু’টি কৃত্রিম দ্বীপের উপর বিমানবন্দর তৈরি করা হয়েছে তা ক্রমশ সমুদ্রে তলিয়ে যাচ্ছে। এমনকি, মূল ভূখণ্ড থেকেও ধীরে ধীরে দূরে সরে যাচ্ছে এই বিমানবন্দর।
ইতিমধ্যেই কৃত্রিম দ্বীপের ৩৮ ফুটেরও বেশি ডুবে গিয়েছে দাবি করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০৫৬ সালের মধ্যে আরও ১৩ ফুট সমুদ্রের তলায় ডুবে যেতে পারে।
এদিকে, শত শত কোটি ডলার ব্যয়ে দু’টি কৃত্রিম দ্বীপের উপর বিমানবন্দর তৈরি করা হয়েছে। কৃত্রিম দ্বীপ দু’টি নির্মাণ করতে প্রথমে সমুদ্রপৃষ্ঠের উপর পাঁচ ফুট উচ্চতার মাটি দেওয়া হয়। তার উপর ১৬ ইঞ্চি ব্যাসের ২২ লক্ষ পাইপ গেঁথে দেওয়া হয়।
জমির ভিত শক্ত করতে পাইপের উপর মাটির সঙ্গে কাদা এবং বালি মেশানো হয়। ওসাকা বের উপর তৈরি দু’টি কৃত্রিম দ্বীপের জমি ভেজা স্পঞ্জের মতো ছিল। সেই জমি পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে তার পর বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
১৯৮৭ সাল থেকে দ্বীপ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২৬০০ একর জমির উপর কৃত্রিম উপায়ে দু’টি দ্বীপ তৈরি করে তার উপর তৈরি হয় কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দু’টি অংশ রয়েছে। একটি অংশ ১২৬০ একর জমির উপর তৈরি। দ্বিতীয় অংশটি ১৩৪০ একর জমির উপর নির্মাণ করা হয়েছে।
১৯৯০ সালে কৃত্রিম দ্বীপ দু’টি তিন কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর মাধ্যমে যুক্ত করা হয়। সেতু নির্মাণের চার বছর পর কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি সম্পূর্ণ ভাবে কার্যকর হয়।
তবে কৃত্রিম দ্বীপের প্রতিনিয়ত ডুবে যাওয়ার ঘটনা চিন্তায় ফেলেছে জাপান সরকারকে। তা হলে কি এই বিমানবন্দরটি কয়েক দশকের মধ্যে সমুদ্রের তলায় চলে যাবে? না কি এর বিকল্প হিসাবে অন্য কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post