সোনার দাম আকাশছোঁয়া। তা সত্ত্বেও বছরের প্রথম দিনে বাঙালি একটু সোনার ছোঁয়া রাখতে চায়। তাই পয়লা বৈশাখে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততাও থাকে তুঙ্গে। শুধু মিষ্টির বাক্স কিংবা ঠান্ডা পানীয় নয়, সোনার গয়নার মজুরির উপর একটু বেশি ছাড় পাওয়ার আশায় সাধারণ মানুষও ভিড় জমান দোকানে দোকানে। গেরস্ত বাঙালির কাছে সোনা আবার শ্রীবৃদ্ধির প্রতীকও বটে। কিন্তু এত ভিড়ের মাঝে যে সোনা কিনছেন, তা আসলে শ্রীবৃদ্ধি করছে, না কি ঠকাচ্ছে, বুঝবেন কী করে?
১) হলমার্ক দেখে তবেই সোনা কিনুন:
এমনিতে আসল সোনা ২৪ ক্যারাট ওজনের। কিন্তু সেটি এতই নরম যে, তা দিয়ে গয়না বানানো সম্ভব নয়। তাই সোনার সঙ্গে কিছুটা খাদ মেশালে তবেই তা থেকে গয়না বানানো যায়। গয়না প্রস্তুতির জন্য ২২ ক্যারাটের সোনা ব্যবহার করা হয়। যার মধ্যে সোনার পরিমাণ ৯১.৬৬ শতাংশ। সব ক্যারাটের হলমার্ক পৃথক। সোনার গয়নার ক্ষেত্রে, অর্থাৎ ২২ ক্যারাটের হলমার্ক ৯১৬। হলমার্ক দেখে কিনলে ঠকার ভয় আর থাকে না।
২) চিনেমাটি দিয়ে পরীক্ষা:
সাদা চিনেমাটির প্লেট নিন। সোনার গয়না তাতে ঘষলে কী রং দেখাচ্ছে, লক্ষ করুন। যদি হালকা সোনালি রং দেখায়, তা হলে নিশ্চিন্ত থাকুন, এ সোনা খাঁটি। যদি রং কালচে হয়, তা হলে তা নকল সোনা।
৩) কামড়ে দেখতে পারেন:
সোনার পদক পাওয়া খেলোয়াড়রা অনেক সময় সেই মেডেলে কামড় দেন। এটা বর্তমানে ‘স্টাইল স্টেটমেন্ট’ হয়ে উঠলেও এর আসল কারণ কিন্তু সোনার খাঁটিত্ব বিচার। কেনা সোনায় হালকা করে কামড় দিয়ে রাখুন অল্প কিছু ক্ষণ। যদি সোনা আসল হয়, তার উপর কামড়ের দাগ পড়বে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post