সমুচা খেতে অনেকেই ভালোবাসেন। তবে এমন একটি ঘটনা সামনে আসায় ভোজনরসিকরা সুস্বাদু সমুচা খাওয়ার আগে অন্তত কয়েকবার ভাববেন।
একটি প্রতিষ্ঠানের ক্যান্টিনে সরবরাহ করা সমুচায় মধ্যে পাওয়া গেছে কনডম, সুপারি ও পাথর। এ ঘটনায় পাঁচজন গ্রেফতার হয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রহিম শেখ, আজহার শেখ, মাজহার শেখ, ফিরোজ শেখ এবং ভিকি শেখ। সমুচার ভেতরে এগুলো পুরে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবর থেকে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের পুনেতে। এরকম চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়।
জানা যায়, কিছু কর্মী সমুচা খেতে গিয়ে তাতে জন্মনিরোধক কনডম, সুপারির টুকরা (গুটখা) এবং পাথরকুচি খুঁজে পান। এরপরই এবিষয়ে সংস্থার তরফে থানায় অভিযোগ করা হয়।
এ ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ষড়যন্ত্র করে এই সব ঘৃণিত অখাদ্য রাখা হয়েছিল সমুচার ভেতরে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পুনের পিম্পরি চিঞ্চওয়াড়ে অবস্থিত একটি বড় অটোমোবাইল সংস্থাকে সরবরাহ করা শিঙাড়ায় কনডম, সুপারি (গুটখা) এবং পাথর পাওয়া যায়।
অভিযুক্তদের মধ্যে সেখানে সমুচা-শিঙাড়া ইত্যাদি সরবরাহের জন্য দায়িত্বে ছিলেন একটি সাব-কন্ট্রাক্টিং ফার্মের দুজন কর্মী এইং অন্য তিনজন একটি ফার্মের অংশীদার।
খাবারে ভেজাল সংক্রান্ত সমস্যার জন্য আগেই তাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হয়েছিল। ক্যাটালিস্ট সার্ভিস সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেড নামের ঐ অটোমোবাইল সংস্থার ক্যান্টিনে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহের দায়িত্বে ছিল মনোহর এন্টারপ্রাইজ নামে একটি সংস্থা।
চিখলি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানাস, মনোহর এন্টারপ্রাইজের কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ফিরোজ শেখ ও ভিকি শেখ নামে দুই কর্মচারী কনডম, গুটখা ও পাথর সমুচার ভেতরে রেখেছিলেন। পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৮ ধারা এবং ১২০বি ধারায় মামলা দায়ের করেছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post