যুক্তরাষ্ট্রে দুই মুসলিম নারীকে হিজাব খুলতে বাধ্য করার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় নিউ ইয়র্ক পুলিশকে সাড়ে ১৭ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় এক কোটি ৭৫ লাখ টাকা) জরিমানা করেছে দেশটির একটি আদালত।
এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ওই নারীরা অভিযোগ করেছিল, পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে হিজাব অপসারণে বাধ্য করেছিল।
এর ফলে তাদের অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। ২০১৮ সালে জামিলা ক্লার্ক ও আরওয়া আজিজ নামের দুই নারী ম্যানহাটন ফেডারেল আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। সম্প্রতি এই মামলার রায় দেওয়া হয়।
রায় দেওয়ার পর জামিলা ক্লার্ক এক বিবৃতিতে বলেন, তারা যখন আমাকে হিজাব খুলতে বাধ্য করেছিল, তখন আমার মনে হয়েছিল যেন আমি নগ্ন।
আমি নিশ্চিত নই, এই শব্দগুলো বিষয়টি বোঝাতে সক্ষম হচ্ছে কিনা আমি নিজেকে কতটা উন্মুক্ত মনে করেছি। আমি খুব গর্বিত যে হাজার হাজার নিউ ইয়র্কবাসীর জন্য ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে পেরেছি।
এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালে পুলিশ বিভাগ হিজাবের ব্যাপারে নীতি পরিবর্তন করে। নতুন নীতিতে বলা হয়, যতক্ষণ হিজাব মুখের ছবি তোলার ক্ষেত্রে বাধা না দিচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের ধর্মীয় পোশাক পরিধানের অনুমতি দেওয়া হবে।
এক বিবৃতিতে শহরের আইন বিভাগের মুখপাত্র নিকোলাস পাওলুচি বলেন, এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নিউ ইয়র্কের পুলিশ বিভাগে একটি ইতিবাচক সংস্কার হয়েছে।
এর ফলে কারো ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারীকে তার জরুরি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।
মামলার রায়ে যে সাড়ে ১৭ মিলিয়ন ডলারের কথা বলা হয়েছে, তা থেকে প্রশাসনিক খরচ ও আইনজীবীদের ফি কেটে নেওয়ার পর ১৩ মিলিয়ন ডলার অবশিষ্ট থাকবে।
যারা ২০১৪ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের আগস্টের মধ্যে একই ধরনের ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে, তাদের মধ্যে এই অর্থ ভাগ করে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post