ঘরে দুই স্ত্রী, তারপরও দোকান মালিকের ৩৩ লাখ টাকা হাতিয়ে প্রেমিকাকে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন কর্মচারী সাঈদ।
চুরির টাকা দিয়ে প্রেমিকাকে নিয়ে নানা জায়গায় ঘোরাঘুরি ও কেনাকাটার পর, গা ঢাকা দিয়েছিলেন ফরিদপুরে। সেখান থেকে প্রেমিক ও প্রেমিকাকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৩২ লাখ টাকা।
কোতয়ালী থানার ইসলামপুরে “নাশওয়ান ফ্যাশন” নামের দোকানটি নারীদের পোশাক বিক্রির একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান। বিশ্বস্ততা ও সততা দেখিয়ে ২০২২ সালে দোকানটিতে চাকরি নেয় সাঈদ আহমেদ।
সে একজন ধর্মান্তরিত মুসলিম। তার পূর্বের নাম প্রদীপ কুমার বিশ্বাস। বাড়ি গাইবান্ধার সদর থানায়। চাকরি করেছেন রংপুরের বিভিন্ন কাপড়ের দোকানে। ঘরে প্রথম স্ত্রী বাইতুন্নেছা লতা ও দ্বিতীয় স্ত্রী বিউটি আক্তার।
গত ২৪শে মার্চ কাপড় বিক্রির ৩৩ লাখ টাকা জমা ছিলো দোকানের সিন্দুকে। আরেক কর্মচারীকে সাথে নিয়ে সেই টাকা ব্যাংকে জমা দিতে যান সাঈদ। পথে ঐ কর্মচারীকে দোকানে ফেরত পাঠিয়ে ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে চলে যান গাজীপুরে প্রেমিকার কাছে।
আসামি সাঈদ আহম্মদ বলেন, আমার প্রেমিকা এবং টাকা নিয়ে বিভিন্ন হোটেলে থেকেছি। ভালো খাওয়াদাওয়া করেছি এবং শপিং করেছি।
দোকান মালিকের মামলার সূত্রে তদন্তে নামে ডিবি পুলিশ। গেলো ৩০ মার্চ ফরিদপুরের ভাংগা থানার আলেখারকান্দা গ্রাম থেকে সাঈদ আহাম্মদ ও তার প্রেমিকা রিতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয় নগদ প্রায় ৩২ লাখ টাকা।
লালবাগ ডিবি’র যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, সে পরকীয়া ও তৃতীয় বিয়ে করার জন্য এতোদিনের সুনাম, বিশ্বাসকে মুহূর্তের মধ্যে ত্যাগ করে টাকা আত্মসাৎ করার চেষ্টা করে। কর্মচারীকে দিয়ে টাকা ব্যাংকে জমা দেয়ার ক্ষেত্রে দোকানমালিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন ডিবির এই কর্মকর্তা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post