স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছিলেন স্বামী। দেখে ফেলেছিল দুই সন্তান। তাই একে একে দুই সন্তানকেও মেরে ফেলেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, স্ত্রী-সন্তানের মরদেহ রেখে দেন ঘরেই।
মরদেহগুলোর সঙ্গে সেই ঘরেই কাটিয়ে দেন টানা তিন দিন, তিন রাত। শেষ পর্যন্ত মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে জানাজানি হয় চাঞ্চল্যকর খুনের এ ঘটনার।
এ ঘটনা ঘটেছে গত ২৮ মার্চরাতে, ভারতের উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌ শহরের সারাভন নগর এলাকায়। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রাম লগন (৩২)। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
রোববার লক্ষ্ণৌ পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রী জ্যোতির পরকীয়া সম্পর্ক আছে এমন সন্দেহ করতেন রাম লগন। এ নিয়ে সংসারে অশান্তি লেগেই ছিল।
কলহের জেরে একপর্যায়ে ২৮ মার্চ গলায় ওড়না পেঁচিয়ে জ্যোতিকে হত্যা করেন লগন। এটা দেখে ফেলে তাদের দুই সন্তান ছয় বছর বয়সী পায়েল এবং তিন বছর বয়সী আনন্দ। পরে লগন দুই সন্তানকেও হত্যা করেন।
একে একে তিনটি খুন করেও পালিয়ে যাননি লগন। স্ত্রী-সন্তানদের মরদেহ নিয়ে ঘরেই থাকেন তিনি। রাত শেষে সকাল হলে বেরিয়ে যেতেন। আবার রাতে ঘরে ফিরে আসতেন। এভাবে একে একে মরদেহগুলোর সঙ্গে তিনটি রাত কাটে তার।
তিন দিন পর বাড়ির মালিক প্রথম গলিত লাশের দুর্গন্ধ পান। গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে বুঝতে পারেন, ওই দুর্গন্ধ লগনের ঘর থেকে আসছে। এ সময় তাদের ঘরের দরজা খোলাই ছিল।
বাড়িওয়ালা ঘরে ঢুকে একটি বস্তায় তিনটি মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশ ডাকেন। পুলিশ লগনকে গ্রেপ্তার করলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে লক্ষ্ণৌ পুলিশের ডেপুটি কমিশনার টি এস সিং বলেন, সাত বছরের সংসার লগন ও জ্যোতির। এক মেয়ে আর এক ছেলে ছিল। কিন্তু জ্যোতি পরকীয়া করছেন, এমন সন্দেহ ছিল লগনের।
জ্যোতি যখন ফোনে কথা বলতেন, সেটা নজরদারি করতেন লগন। এ নিয়েই কলহে জড়ান দুজনে। একপর্যায়ে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যা করেন তিনি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post