ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের জেবু মিয়াকে (৪০) মানব পাচার মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত সোমবার গ্রেফতারকৃতকে সুনামগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জেবু মিয়া জগন্নাথপুর পৌরসভার কেশবপুর এলাকার মৃত আপ্তাব আলীর ছেলে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ইছগাঁও গ্রামের মানব পাচার চক্রের মুলহোতা আজিজুর রহমানের মাধ্যমে সাড়ে ১০ লাখ টাকা চুক্তিতে হবিবপুর গ্রামের ছালিক মিয়ার ছেলে মিজান মিয়া ইতালি যাওয়ার জন্য দুবাই হয়ে লিবিয়ায় যান।
চুক্তি অনুযায়ী কথা ছিল ইতালি পৌঁছার পর চুক্তির টাকা পরিশোধ করার। কিন্তু লিবিয়ায় যাওয়ার পর মিজানকে হত্যার ভয় দেখিয়ে তার মায়ের কাছ থেকে চুক্তির সাড়ে ১০ লাখ টাকা আদায় করে মানব পাচার চক্রের সদস্যরা।
কিছুদিন পর আবার মিজানকে অমানবিক নিযার্তন করে তার মায়ের কাছ থেকে আরো ১০ লাখ টাকা আদায় করে ওই চক্রটি। দীর্ঘ তিন বছর নিযার্তনের পর গত ১৭ জানুয়ারি লিবিয়া পুলিশের সহযোগিতায় মিজানকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় গত সোমবার মিজানের মা রেখা বেগম বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় মানব পাচার চক্রের মূলহোতা আজিজুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী রেখা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে ৩ বছর লিবিয়াতে আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই এবং আমার কাছ থেকে নেওয়া সাড়ে ২০ লাখ টাকা ফেরত চাই।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, মানব পাচার আইনে মামলা দায়ের পর দুই নম্বর আসামি জেবু মিয়াকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার মূলহোতা লিবিয়ায় রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post