বিভিন্ন সড়ক ও সেতুতে টোল প্লাজা থাকে। এসব প্লাজায় বিভিন্ন যানবাহনের টোল রাখা হয়। এটা দীর্ঘদিনের পুরনো পদ্ধতি।
এই পদ্ধতির বদল আনতে চলেছে ভারত সরকার। দেশটির কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয় স্যাটেলাইট ভিত্তিক টোল কালেকশন সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছে।
ভারতের বিভিন্ন মহাসড়কগুলোতে বসতে পারে এই সিস্টেম। ঠিক কীভাবে কাজ করবে স্যাটেলাইট ভিত্তিক টোল কালেকশন?
কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে টোল সংগ্রহ করবে ভারতে সরকার। উঠে যেতে পারে বর্তমান টোল ব্যবস্থা। নতুন জিপিএস ভিত্তিক টোল প্রযুক্তি চালু হতে যাচ্ছে।
পরিকল্পনাটিকে বাস্তব রূপ দিতে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয়। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে টোল সংগ্রহ করা হবে ওই দেশে। কীভাবে কাজ করবে এই সিস্টেম সেই তথ্যও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকরি।
স্যাটেলাইট ভিত্তিক টোল সিস্টেম কীভাবে কাজ করবে?
মন্ত্রী নীতিন গডকরি জানিয়েছেন, নতুন টোল সিস্টেম জিপিএস এবং ক্যামেরার ব্যবহার করা হবে। এর ফলে টোল বুথ ও ব্যারিয়ারগুলোর প্রয়োজন পড়বে না। জিপিএস ও ক্যামেরার মাধ্যমে শনাক্ত করা হবে গাড়ি এবং সরাসরি গাড়ি চালকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে যাবে টোল ট্যাক্স। কত কিলোমিটার ভ্রমণ করেছে সেই গাড়ি, তার উপর নির্ভর করবে টোল ট্যাক্সের পরিমাণ।
এখন কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়?
বর্তমানে যে টোল ব্যবস্থা দেখতে পাওয়া যায় সেগুলো আরএফআইডি (RFID) প্রযুক্তির ভিত্তিতে কাজ করে। এটি হল রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন ট্যাগ। যা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে গাড়িগুলো শনাক্ত করতে এবং ট্র্যাক করতে সাহায্য করে। বাংলাদেশেও এই সিস্টেম চালু আছে।
একটি ক্যামেরা বসানো থাকে টোল প্লাজায়। যা গাড়ির ফাস্ট্যাগ আইডি ট্র্যাক করে ব্যাংক মারফত টাকা কেটে নেয়। তবে নতুন জিপিএস ভিত্তিক সিস্টেম বসলে এই আইডির প্রয়োজন কমে যাবে। সরকারের মতে, নতুন টোল সিস্টেম টোল সংগ্রহ প্রক্রিয়া দ্রুত এবং স্বচ্ছ করে তুলবে।
এই মুহূর্তে প্রত্যেক টোল প্লাজাতে ট্যাক্সের পরিমাণ ফিক্সড রয়েছে। যত কিলোমিটারই ভ্রমণ করেন না কেন যা টাকা বেধে দেওয়া হয়েছে সেটাই জমা দিতে হয়। তবে নতুন ব্যবস্থা যোগ হলে এই টাকার অংকে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post