মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের বিভিন্ন শহরে শতাধিক দোকান সিলগালা করে দিয়েছে ইসলামিক দেশটির কর্তৃপক্ষ। পবিত্র রমজান মাসকে অসম্মান ও নিয়ম লঙ্ঘন করার অভিযোগে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গত সোমবার (২৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ইরান ইন্টারন্যাশনাল।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পবিত্র রমজান মাসে ইরানিদের জনসম্মুখে খাওয়া, মদ্যপান এবং ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে, এমনকি গাড়ির ভেতরেও এসব কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে তাদের।
আর তা না হলে ইরানের ইসলামিক দণ্ডবিধির ৬৩৮ ধারা অনুযায়ী রোজার নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্তকে ১০ থেকে ৬০ দিনের কারাদণ্ড বা ৭৪টি পর্যন্ত বেত্রাঘাত শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।
ইরানে এই আইন ধর্ম নির্বিশেষে সকলের জন্য প্রযোজ্য। ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের প্রায় ১২ বছর পরে ইরানে এই আইনটি বাস্তবায়িত হয়।
ইরান ইন্টারন্যাশনাল বলছে, হামেদানের প্রসিকিউটর হাসান খানজানি গত শনিবার ‘রমজানের নিয়ম মেনে না চলার’ জন্য একটি ফুড কোর্টসহ ৬৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিলগালা করার ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে পুলিশ বলছে, ‘রমজানের সময় স্থাপনাগুলোতে তত্ত্বাবধানের পরিকল্পনার অংশ হিসাবে ২৪টি নিয়ম অমান্যকারী এবং রমজানের নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিল করে দেওয়া হয়েছে।’এই ঘটনায় আরও ৭৩ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, চলতি মার্চের মাঝামাঝিতে রমজানের বাধ্যতামূলক নীতি পালন করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে আবহার, জাঞ্জান প্রদেশে চারটি রেস্তোরাঁ এবং খুজেস্তান প্রদেশের দেজফুলে ১০টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের কর্মকর্তারা রোজার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে প্রতি বছর রমজানে সতর্কতা জারি করে থাকে। গত ২০ মার্চ ইরানের নিরাপত্তা বিষয়ক উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মজিদ মিরাহমাদি ইসলামিক দণ্ডবিধির ৬৩৮ ধারা উদ্ধৃত করে সতর্কতা উচ্চারণ করেছিলেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post