ঈদ ঘিরে নতুন নতুন পণ্যে সয়লাব হয়ে গেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাজার। ছোট বড় অভিজাত মলগুলোতে বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানগুলো এবার আন্তর্জাতিক বাজার দখলের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। ইউরোপ আমেরিকা ছাড়িয়ে এবার মধ্যপ্রাচ্যের বাজারেও আধিপত্য বিস্তারের সক্ষমতা দেখাচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
এতদিন ইউরোপ আমেরিকা জুড়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের কদর ছিলো। মধ্যপ্রাচ্যে এই খাতে ঘাটতি থাকলেও তা এখন কাটিয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে বাংলাদেশী পোশাকের নতুনত্ব ছড়িয়ে দিতে চাইছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো।
সেই লক্ষ্যে প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। কেবল প্রবাসী বাংলাদেশী নয়, মধ্যপ্রাচ্য বা এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর ক্রেতাদের মাঝেও দেশি পোশাকের ঐতিহ্য ছড়িয়ে দিতে চান প্রবাসী ব্যবসায়ীরা।
আমিরাতের বড় শপিংমলগুলোয় আন্তর্জাতিক বাজার দখলের লক্ষ্যে দেশীয় স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান জেন্টেল পার্ক এরইমধ্যে তাদের বিপণন কেন্দ্র স্থাপন করেছে। বিশেষ করে এমিরেটস মল, ইবনে বতুতা মল,বারজুমান সেন্টার, আল গোরাইর মল, মীর দ্বীপ সিটি সেন্টার, শারজা সিটি সেন্টার সহ আবুধাবি, সারজা, আজমান ও দুবাইয়ের উল্লেখযোগ্য স্থান গুলোতে জেন্টেল পার্কের বিক্রয় কেন্দ্র রাখা হয়েছে। এছাড়া দেশীয় ক্রেতার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রেতা ধরে রাখার জন্য অন্য বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপক প্রস্তুতিও চোখে পড়ার মত।
প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য এসব প্রতিষ্ঠানে নিজস্ব ব্র্যান্ডের পাঞ্জাবি প্রদর্শিত হচ্ছে। আগে যেসব প্রবাসী ঈদ করতে দেশ থেকে পাঞ্জাবি কিনে নিয়ে আসতেন, তারা এখন হাতের নাগালে দেশীয় বিভিন্ন ডিজাইনের পাঞ্জাবি পাচ্ছেন। কেনাকাটার মধ্য দিয়ে বিদেশীদের মাঝেও ছড়িয়ে দিচ্ছে ঈদের অনুভূতি।
অভিজাত শফিংমল গুলোতে সাধারণ প্রবাসীদের কেনাকাটার সামর্থ্য না থাকলেও স্থানীয় ছোটখাটো বিপনী বিতানে ইতিমধ্যে তাদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি থাকলেও বিদেশে মূল্য ছাড়ের অফার থাকায় প্রবাসী বাংলাদেশীরা এবার স্বস্তিতে ঈদ করবেন বলেই প্রত্যাশা সকলের।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post