দুই চোখে দেখতে পান না যুবক, পেশা তার ভিক্ষা করা। তবে অন্যান্য ভিক্ষুকদের থেকে একটু আলাদা তিনি। কারণ তিনি ভিক্ষা করেন অভিনব উপায়ে। লোকজন সাধারণত ভিক্ষুকের হাতে নগদ অর্থ সহায়তা করেন সাধ্যমতো।
কিন্তু এবার এমন এক ভিক্ষুকের সন্ধান মিলেছে; যিনি ডিজিটাল ভিক্ষুক হিসেবে পরিচিত। মোবাইলে অ্যাপসের মাধ্যমে ভিক্ষার অর্থ সহায়তা নেন তিনি।
এমন ডিজিটাল ভিক্ষুকের খোঁজ পাওয়া গেছে ভারতের আসাম রাজ্যের গুয়াহাটিতে। সেখানে গলায় অ্যাপসের কিউআর কোড ঝুলিয়ে লোকজনের কাছ থেকে ভিক্ষার অর্থ নিতে দেখা যায় তাকে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ব্যক্তির কাছ থেকে তার মোবাইলের অ্যাপসে ভিক্ষার অর্থ নেওয়ার ভিডিও নেটিজেনে ভাইরাল ।
অভিনব উপায়ে ভিক্ষা করায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছেন তিনি। এই ডিজিটাল ভিক্ষুকের নাম দশরথ।
Stumbled upon a remarkable scene in bustling #Guwahati – a beggar seamlessly integrating digital transactions into his plea for help, using PhonePe! Technology truly knows no bounds.
It's a testament to the power of technology to transcend barriers, even those of socio-economic… pic.twitter.com/7s5h5zFM5i— Gauravv Somani (Modi Ka Parivar) (@somanigaurav) March 24, 2024
ভিডিওতে দেখা যায়, ভারতীয় ডিজিটাল পেমেন্ট ও আর্থিক পরিষেবা সংস্থা ফোনপের একটি কিউআর কোড প্রিন্ট করে গলায় ঝুলিয়েছেন তিনি। একটি গাড়িতে বসে থাকা দুই ব্যক্তির কাছে ভিক্ষা চান তিনি।
এ সময় গাড়ির এক যাত্রী দশরথের গলায় ঝোলানো কিউআর কোড স্ক্যান করে তার অ্যাকাউন্টে ১০ রূপি পাঠিয়ে দেন। অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা হওয়ার নোটিফিকেশনের অডিও শোনার জন্য ফোনটি নিজের কানের কাছে ধরে রাখেন তিনি।
ভিডিওটি এক্সে শেয়ার করেছেন কংগ্রেসের নেতা গৌরব সোমানি। এর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘‘চিন্তার উদ্রেক করার মতো মুহূর্ত।’’ তিনি লিখেছেন, সত্যিই প্রযুক্তির কোনও সীমা নেই। এমনকি এটা প্রযুক্তির শক্তির আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থারও প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করার প্রমাণ।
এর আগে, বিহারেও ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গলায় কিউআর কোডের প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে ভিক্ষা করতে দেখা যায়। ট্যাব হাতে গলায় কিউআর কোড ঝুলিয়ে বিহারের বেত্তিয়া রেলওয়ে স্টেশনে ভিক্ষা করেন তিনি। তবে ভারতে কোনও ভিক্ষুকের ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার এটাই প্রথম ব্যবহার নয়।
নিজেকে বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের অনুসারী হিসেবে পরিচয় দেওয়া রাজু প্যাটেল নামের ওই ডিজিটাল ভিক্ষুক বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডিজিটাল ইন্ডিয়া ক্যাম্পেইনে উৎসাহিত হয়ে ডিজিটাল উপায়ে ভিক্ষার অর্থ নেন তিনি।
এদিকে, ডিজিটাল ভিক্ষুক বলেন, তিনি কখনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘‘মান কি বাত’’ রেডিও প্রোগ্রাম শুনতে ভোলেন না। দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লিতেও আয়েশা শর্মা নামের ২৯ বছর বয়সী ট্রান্সজেন্ডার এক ভিক্ষুকও ইউপিআই পেমেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে ভিক্ষার অর্থ নেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post