ফিলিস্তিনের গাজায় প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের বেশ কয়েকটি দাবি মেনে নিতে ইসরাইল প্রস্তুত বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, হামাসের শীর্ষ নেতাদের হত্যা না করার ওয়াদা।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম কানের উদ্ধৃতি দিয়ে জেরুসালেম পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, হামাসের সিনিয়র নেতারা যদি গাজা উপত্যকা থেকে বিদেশে চলে যান, তাহলে তাদেরকে হত্যা না করার প্রতিশ্রুতি বিবেচনা করবে ইসরাইল।
এর আগে, গত নভেম্বরে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে হামাসের নেতাদের খুঁজে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, গাজা উপত্যকাকে অসামরিকীকরণ এবং পণবন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে এই চুক্তিতে রাজি হতে পারে ইসরাইল। আগে হামাস দৃঢ়ভাবে দাবি জানিয়ে আসছিল, গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনীকে প্রত্যাহার করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের বন্দী মুক্তির প্রস্তাবটিতে এসব দাবি রয়েছে বলে জানা গেছে। চুক্তিতে প্রথমে ছয় সপ্তাহের অস্ত্রবিরতিতে ৪০ বন্দীর মুক্তির কথা বলা হয়েছে।
এদিকে, হামাস কর্মকর্তারা জানান, তারা যুদ্ধবিরতি হলেই কেবল বাকি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে। তবে নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলছেন, গাজা হামাসের হাতে থাকবে, এমন কোনো চুক্তি তার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
ইসরাইলের কর্মকর্তা বলেন, তারা যে প্রস্তাব বিবেচনা করছেন, তার মধ্যে প্রবাসী সিনিয়র কর্মকর্তাদের ক্ষতি না করার প্রতিশ্রুতিও রয়েছে।
তবে, হামাস কর্মকর্তারা গাজা ত্যাগ করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে জানা গেছে। হামাসের সিনিয়র নেতা হুসাম বাদরান বলেন, ‘হামাস এবং এর নেতারা গাজায় তাদের ভূমিতে আছেন। আমরা যাব না।’
এদিকে, আমেরিকার প্রস্তাব অনুযায়ী হামাসের হাতে আটক বন্দীদের বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিষয়ে রাজি হয়েছেন তারা। এখন তারা হামাসের জবাবের অপেক্ষায় রয়েছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post