বাহরাইনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসাবে প্রায় চার বছর যাবত ড. মো. নজরুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করেন। এ কূটনীতিককে গত বছরের শেষের দিকে অতিরিক্ত সচিব করে সদর দপ্তর ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। আর তার স্থলাভিষিক্ত বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে আরেক পেশাদার কূটনীতিককে মানামায় প্রস্তাব পাঠায় ঢাকা।
তবে ঢাকার প্রস্তাবিত কূটনীতিককে দেশটি নিতে রাজি হয়নি। আর প্রস্তাবিত ব্যক্তিকে কি কারণে আপত্তি রয়েছে, তা জানানো হয়নি। সেজন্য বিকল্প দূত পাঠানোর পরিকল্পনা করছে মধ্যপ্রাচ্যের গুরত্বপূর্ণ এই দেশটিতে।
কূটনৈতিক বরাত থেকে জানা যায়, সাবেক রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম গত বছরের সেপ্টেম্বরে স্টেশন (মিশন) ছাড়েন। কাউন্সিলর পদমর্যাদার এক কূটনীতিককে রাষ্ট্রদূত স্টেশন ছাড়ার আগে মিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স করা হয় এ. কে. এম. মহিউদ্দিন কায়েস নামের এই কূটনীতিককে। দেশটির মিশনটিতে রাষ্ট্রদূতের পদ শূন্য প্রায় সাত মাস যাবত।
বাংলাদেশের কূটনীতিককে গ্রহণ না করার কারণ হিসেবে এক কূটনীতিক জানান, হোস্ট কান্ট্রি প্রস্তাবিত দূতের জন্য এগ্রিমোর চাওয়ার পর তাকে নেবে কি নেবে না, এটা একান্তই তাদের ব্যাপার। আর কূটনীতিক রীতি অনুযায়ী প্রস্তাবিত দূতকে কেন গ্রহণ করেনি; তার ব্যাখ্যা দিতেও কোনো দেশ বাধ্য নয়।
২০০১ সালে পেশাদার কূটনীতিক হিসেবে বিসিএস (পররাষ্ট্র ক্যাডার) ২০ ব্যাচের কর্মকর্তা খোরশেদ আলম খাস্তগীর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। কুয়ালালামপুরে ২০২০ সাল থেকে বাংলাদেশ হাইকমিশনে উপ-হাইকমিশনারের দায়িত্বয়ে ছিলেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post