ওমানের ৪০ শতাংশ মানুষ করোনা ভ্যাকসিন পাবে, জানালেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এই বছরের মধ্যে করোনা ভ্যাকসিন ওমানে পৌঁছালে দেশের ৪০% জনগণ প্রথম পর্যায়ে এই টিকা গ্রহণ করতে পারবে বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আজ সুপ্রিম কমিটির সপ্তাহের শেষ বৈঠকে এই কথা বলেন মন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আল সাইদী জানিয়েছেন, “ওমান বেশ কয়েকটি দেশের সাথে ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য যোগাযোগ করে যাচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে দেশটির স্বাস্থ্য কর্মীরা, চেকপয়েন্টের কর্মচারী, দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং বয়স্কদের এই টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশে প্রবেশে নতুন নির্দেশনা জারি
তিনি বলেন, করোনার পরিমাণ ওমানে কিছুটা কমেছে। আমি আশা করি, সাম্প্রতিক সময়ে রেকর্ড হওয়া করোনা রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমায় স্বস্তিতে দেশ। তবে সতর্কতামূলক স্বাস্থ্যকর পদক্ষেপের প্রতি সকল নাগরিকদের সজাগ থাকতে হবে।
তিনি আরও জানান,”সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার কারণেই মূলত দেশে করোনার পরিমাণ আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে।” দেশটিতে গত ২৪ ঘন্টা ৩৫ জন লোক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। যাদের মধ্যে ১০ জন আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন বলে জানান মন্ত্রী।
রাশিয়ার তৈরি করোনা ভ্যাকসিন স্পুটনিক-৫ করোনা প্রতিরোধে ৯২% কার্যকর
মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক-৫ ভ্যাকসিন ৯২ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করা হয়েছে। ভ্যাকসিনের অন্তর্বর্তীকালীন পরীক্ষার ফলে এ তথ্য মিলেছে বলে বুধবার দেশটির সার্বভৌম সম্পদ তহবিল জানিয়েছে।
করোনাভাইরাসের কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে মস্কোর। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির নানা উদ্যোগ বর্তমানে চলমান থাকলেও অল্প কয়েকটি ভ্যাকসিন ইতোমধ্যে শেষ ধাপের পরীক্ষায় পৌঁছেছে। চলতি সপ্তাহে মার্কিন ওষুধপ্রস্ততকারক কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেকের তৈরি ভ্যাকসিন করোনা প্রতিরোধে ৯০ শতাংশ কার্যকর বলে জানানো হয়।
আরো পড়ুনঃ শিগগিরই ওমানের আউটপাশ নিয়ে শুরু হবে অনলাইন নিবন্ধন
বিশ্বে সবার আগে রাশিয়ায় গত আগস্টে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য গামালিয়া ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের তৈরি ভ্যাকসিনের নিবন্ধন দেয়া হয়। যদিও ভ্যাকসিনটির বৃহৎ পরিসরে শেষ ধাপের পরীক্ষা সেপ্টেম্বরে শুরু হয়। রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (আরডিআইএফ) প্রধান কিরিল দিমিত্রিয়েভ বলেছেন, আমরা তথ্য-উপাত্তে দেখছি, আমাদের খুবই কার্যকর একটি ভ্যাকসিন রয়েছে।
আরডিআইএফ বলছে, গামালিয়া ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিনটি ১৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর দেহে প্রয়োগ করা হয়েছিল। দুটি করে ডোজ দেয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন ফলাফলে ভ্যাকসিনটি করোনা প্রতিরোধে ৯২ শতাংশ কার্যকর বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। ভ্যাকসিনটি তৈরি ও বিশ্বজুড়ে বাজারজাতকরণের জন্য আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে রাশিয়ার এই সংস্থা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post