ফিলিস্তিনি অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একটি ছবি ভাইরাল হয় এ সপ্তাহে। ছবিটিতে দেখা যায়, ফিলিস্তিনি একটি পরিবার সারাদিন রোজা রেখে পশুপাখির খাবার ঘাস খাচ্ছেন ইফতারে।
এই ছবিতে ফুটে উঠেছে ইসরায়েলের চালানো হামলায় গাজাবাসী কতটা অসহায় হয়ে পড়েছেন। ফিলিস্তিনি পরিবারের এই ছবিটি দেখার পর ব্যথিত হয়েছে বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ।
ফিলিস্তিনিরা যে ঘাস খাচ্ছেন সেগুলো তাদের জন্য ক্ষতিকর হচ্ছে না?
সংবাদমাধ্যম মিডেল ইস্ট আইয়ের এক সাংবাদিককে জানিয়েছেন, তারা বাধ্য হয়ে ঘাস তুলে সেগুলো রান্না করে খাচ্ছেন। ফিলিস্তিনিরা জানিয়েছেন, এটি ঘাস হলেও শিশুদের সঙ্গে তারা মিথ্যা বলেন। শিশুদের তারা বলে থাকেন এগুলো মুলুখেয়া। যেটি উদ্ভিদ বিশেষ একটি খাবার। তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ায় ফিলিস্তিনের গাজার অনেক মানুষ ঘাস খাচ্ছেন।
ঘাস কি খাওয়া যায়, এটি নিরাপদ?
ঘাস বিষাক্ত কোনো কিছু নয় মানুষের খাওয়ার উপযোগী এটি। তবে মানুষের জন্য ভালো নয় এটি। পানি আর লিগনিনের সমন্বয়ে তৈরি ঘাস। লিগনিন একটি প্রোটিন যা মানুষের পাচনতন্ত্রে ভাঙা কঠিন। যেহেতু ঘাস মানবদেহের পাচনতন্ত্র ভাঙতে পারে না ফলে এটির কারণে বমি ও ডায়রিয়া হতে পারে। আর বেশিরভাগ ঘাসই মানবদেহে হজম হয় না। ফলে মানুষ এর থেকে কোনো পুষ্টিই পায় না।
ঘাসে অতিরিক্ত পরিমাণ সেলুলোস থাকে যার অর্থ হলো মানুষের জন্য কোনো পুষ্ঠিগত উপকারিতা নেই। এছাড়া ঘাস মানুষের দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। কারণ ঘাসে প্রচুর পরিমাণ সিলিকা বা বালু থাকে।
তাছাড়া অনেক জায়গায় ঘাসে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ মানুষ ঘাস খেলে ক্যান্সার ও সন্তান জন্মদানগত সমস্যা হতে পারে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওটিতে দেখা যায়, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার শিশুরা ঘাস সংগ্রহ করছে।
এক মা বলেছেন, খুবই দুর্বল হয়ে পরেছে তার শিশু এবং সবসময় ডায়রিয়াতে ভুগছে। শিশুদের চেহারা সব সময় হলুদ হয়ে থাকছে। মূলত এমনটি হচ্ছে ময়লা পানি ও ঘাস খাওয়া পর থেকেই।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post